ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:০৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত চলমান গণহত্যা ও নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধিরা পাঠিয়েছেন সেসব তথ্য।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ‘ছাত্র জনতা’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে কয়েক শ শিক্ষার্থী, যুবক ও স্থানীয় বাসিন্দা অংশ নেন।
প্রতিবাদকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা ‘ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াও’, ‘ইসরায়েলি হামলা বন্ধ কর’, ‘জিহাদ করে বাঁচতে চাই’-এমন নানা স্লোগান দেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিশু, নারীসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে তারা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করছে। বক্তারা বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্র জনতার আয়োজনে এই কর্মসূচিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। ধর্মীয় অনুভূতি থেকে মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে অনেকেই এই প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার ধামরাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী, তৌহিদি জনতা ও ওলামা সমাজ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সমাজ, তৌহিদি জনতা ও ওলামা কেরামগণের আয়োজনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন করেন এবং সড়কে অবস্থান নেন। একইসঙ্গে একটি বিক্ষোভ মিছিল ধামরাই উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বর মাঠে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জামে মসজিদের খতিব ইয়াসিন আনসারী, গোয়ারীপাড়া জামে মসজিদের খতিব শাকিল আহমেদ, ধামরাই বিজয়নগর ঢাকা ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মোশাররফ হোসেন, নিরাপদ সড়ক ধামরাই শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে রোহিত ও পিয়াস এবং তৌহিদি জনতার প্রতিনিধি ফয়জুল রহমান।
বক্তারা বলেন, গাজায় শিশু ও নিরীহ মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ করছে। তারা ইসরায়েলি পণ্যের বিরুদ্ধে গণবয়কটের আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘আমাদের অনুমতি দিলে আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও প্রস্তুত।’
সমাবেশ শেষে নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্থানীয় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
কুবি প্রতিনিধি
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) কর্তৃক গাজার নিরীহ নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের ওপর অবিরাম হামলা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস এবং ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও স্কুলে পরিকল্পিতভাবে আঘাত হানা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতাবিরোধী আইন লঙ্ঘনের শামিল। নিরীহ মানুষ হত্যা, পরিবার উচ্ছেদ এবং শিশুদের এতিম করে তোলার মতো অমানবিক ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানান, এসব কর্মকাণ্ড জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যেখানে যুদ্ধাবস্থায় বেসামরিক জনগণ ও অবকাঠামোর ওপর হামলা নিষিদ্ধ। প্রতিটি প্রাণহানি, প্রতিটি শিশু এতিম হওয়া এবং প্রতিটি পরিবারের উদ্বাস্তু হওয়া—এগুলোই সংকট সমাধানে বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের শান্তিকামী দেশগুলোকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানানো হয়।
শান্তি, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধে অটল থাকা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এবং ফিলিস্তিনের পাশে থামা ও স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা ও নৃশংসতার প্রতিবাদে গাজীপুরের শ্রীপুরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর নিচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় ইসলামীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীর। সমাবেশ শেষে উড়াল সেতুর নিচ থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু করে পল্লীবিদ্যুৎ মোড় ঘুরে আবার উড়াল সেতুর নিচে এসে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলের গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা পৃথিবীর সমস্ত নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়েছে। কথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী আমেরিকার বিবেক গণহত্যাকারী জায়োনিস্ট ইসরায়েলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের ওপর বছরের পর বছর দখলবাজি ও বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সারখ্যাত দেশটি। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বিকারচিত্তে শুধু দেখেই যাচ্ছে, কারণ ফিলিস্তিনিরা মুসলমান। মুসলমানের মানবাধিকার ‘নাই’ করে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ইতিহাসের চরম ভুল পথে হাঁটছে, যা তাদের জন্য আত্মঘাতী। সমাবেশে বক্তারা ইসরাইলি পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানান এবং নেতানিয়াহু ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘ইসরাইলি পণ্য বয়কট, বয়কট’, ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে জোতা মার তালে তালে’, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই গালে জোতা মার তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইবি প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। যেটি কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের উঠে পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে এক সমাবেশে রূপ নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, দখলদারদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন‘ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন লেখা সম্মিলিত প্লেকার্ড দেখা যায়। যাতে লেখা ছিল, 'ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো করতে হবে', বিশ্ব মুসলিম ঐক্য করো ফিলিস্তিন স্বাধীন করো' ইত্যাদি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ফিলিস্তিনের সকল পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সাথে যারা ফিলিস্তিনের পণ্য ক্রয় করবে তাদেরকেও বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন।
নরসিংদী প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা, নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল নরসিংদীর সর্বসাধারণ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের জনগণ বিশ্ববাসীর সাথে একযোগে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এতে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। আঞ্চলিক সড়কেও অবস্থান নিয়ে মিছিল করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনতা। এ সময় ইসরাইল বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।
সকাল ১১টায় নরসিংদী পৌরসভার সামনে থেকে ছাত্র-জনতা বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে মিলিত হয়। পরে সেখান থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত একযোগে মার্চ করে তারা। এছাড়াও গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ জানায় নরসিংদীর সর্বস্তরের মানুষ।
এ সময় ইসরাইলি সকল পণ্য বর্জন ও গাজা রক্ষার ইসরাইলের বিচারের পাশাপাশি দাবি তোলা হয়।
খুলনা প্রতিনিধি
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলা ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা শাখা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় আবু বকর (রা.) মসজিদ সংলগ্ন জামায়াত মোড় হতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।
মিছিলটি উপজেলা সদরের মেইন রোড হয়ে উপজেলা পরিষদের মাঠ ঘুরে কপোতাক্ষ কলেজ মাঠে এসে শেষ হয়। এতে জামায়াতের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মিছিলে ‘তুমি কে, আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘শিশুদের ওপর হামলা কেন,জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘্ইসরায়েলি পণ্য, বর্জন করো, করতে হবে’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াতের কয়রা উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন রক্তচোষা ও গণহত্যাকারী। চুক্তি ভঙ্গকারী এ নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হবে।
বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আধিপত্য বিস্তারকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা না দিতে তিনি মুসলিম শাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জন করে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে হবে। বাংলাদেশে কোনো ইসরায়েলি দোসর যেন প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি ইসরায়েলের বিপক্ষে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
জামায়াতে উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা সুজাউদ্দীন বলেন, ‘বিগত দিনে ইসরায়েলের বিপক্ষে মিছিল করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে জামায়াতের বহু নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই শক্তিও বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত। ’
বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তাই ফিলিস্তিনের বিজয় নিশ্চিত। মক্কায় যেমন চুক্তি ভঙ্গ করায় কাফেরদের পতন ঘটেছে, তেমনি এবারও ইসরায়েলের পতন অবশ্যম্ভাবী।
কয়রা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সাইফুল্লাহ এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম,মাওলানা আবু তাহের, হাফেজ জাহাঙ্গীর হোসেন,শাহাবুদ্দিন মোল্যা,মাওলানা মতিউর রহমান, মাস্টার নূর কামাল, হাফেজ আব্দুল হামিদ, সরদার জুলফিকার আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলা উপদেষ্টা মোশাররফ রাতুল, ছাত্রশিবির সভাপতি মুহা. সামিউল প্রমুখ।
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইকস ফর গাজা’ কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে কলাপাড়ার কুয়াকাটায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
কুয়াকাটা তৌহিদি জনতার ব্যানারে সকাল সাড়ে দশটায় কুয়াকাটার চৌরাস্তা থেকে শুরু করে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহরের চৌরাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখার সাবেক সভাপতি মাও. মাইনুল ইসলাম মান্নান, বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখার সভাপতি মাও. শহিদুল ইসলাম, কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম কারি নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।
পরে সমাবেশ থেকে গাজার মুসলমানদের জন্য দোয়া ও ইসরায়েলি পণ্যের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
মেহেরপুর প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গাংনী উপজেলা ছাত্র সমাজ পরিবারের ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক হয়ে শহরের বড়বাজার গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলার শাখার সদস্য সচিব মোজাহিদুল ইসলাম, গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম বোরহান, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দীন শাওন ও স্থানীয় সমাজ সেবক বশির আহমেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক, আমির হামজা, আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজা গণহত্যা চলমান থাকলেও বিশ্ব বিবেক আজ নিশ্চুপ। কোথায় মানবাধিকার? আমাদের শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম হিসেবে আমাদের লজ্জা অনুভব হয় যে, আমরা এখনও এই অসহ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারছি না।
বক্তারা ইজরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করার ছাত্রছাত্রীরা প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে মেহেরপুর শহরে ও মুজিবনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে মুসলিমদের উপরে ইসরাইলী দখলদার বাহিনীর চলমান নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী হরতালের কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার (৭ই মার্চ) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নলছিটি উপজেলা শাখা।
এতে নেতৃত্ব দেন ইসলামি আন্দোলনের নলছিটি উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শাহজালাল হোসাইন জিহাদি, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আনিসুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মিছিলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নলছিটি উপজেলার সভাপতি আবু মূসা সরদার, মাহবুব হোসেন,সাইফুল ইসলাম সহ ইসলামি আন্দোলনের নেতা কর্মীসহ স্থানীয় সর্বস্তরের সাধারণ জনতা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নলছিটি বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ সেলিম তালুকদার স্মৃতি চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামি আন্দোলন ঝালকাঠির প্রধান উপদেষ্টা ডা: সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ইসলামি আন্দোলন নলছিটি উপজেলার সভাপতি মাওলানা শাহজালাল হোসাইন জিহাদি, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, নলছিটি মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আতিকুর রহমান প্রমুখ।
বাগেরহাট প্রতিনিধি
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের ছাত্র-জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে সর্বস্তরের ছাত্র ও জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই, ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব চাই, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন চাই, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন চাই’সহ নানা ক্ষোভ ও প্রতিবাদের স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব বিবেক আজ নির্বিকার। কোথায় সেই মানবাধিকার? যেখানে শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা মুসলমান, আমরা একটি দেহের মতো। একজন মুসলিম কষ্টে থাকলে অন্যদেরও সেটা অনুভব করতে হবে। আজ আমাদের লজ্জা হয়, আমরা এখনও ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছি না।
সমাবেশে বক্তারা মুসলমানদের ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আজ থেকেই ইহুদিদের পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শরিক হবো। ইসরায়েলি অর্থনীতিকে দুর্বল করতে হলে আমাদের বর্জনের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে।
সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, স্থানীয় তরুণ সমাজ ও গণমানুষের উপস্থিতি ছিল। বক্তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বিশ্ব মুসলমানের শান্তিতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাইয়ে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে সোমবার (৭ এপ্রিল) দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ গেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য দেন নওগাঁ-০৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ও নওগাঁ জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য ও পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খবিরুল ইসলাম।তিনি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত,গণহত্যা বন্ধ, যুদ্ধ বিরতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো ভূমিকা রাখার দাবি জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত গণহত্যা, নিপীড়ন ও আগ্রাসন মানবতার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। তারা ফিলিস্তিনের গণহত্যা বন্ধসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহকে সংগঠিত হওয়ার এবং ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ -৬ (আত্রাই -রাণীনগর) আসেনর এমপি প্রার্থী মাওলানা আক্তারুজ্জামান। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ আত্রাই উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুর রহমান। উপজেলা জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির ওসমান গনি, পাঁচুপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. শাহিন, আত্রাই উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. মতিউর রহমান শাহিন।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আদর, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার সরদার সৌরভ,পাঁচুপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ, পাঁচুপুর ইউনিয়ন সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জনিসহ উপজেলার তৌহিদী জনতা।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফিলিস্তিনে চলমান নির্মম গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আল-আকসা রক্ষায় অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-তৌহিদি জনতা ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভুলতা, মুড়াপাড়া,কাঞ্চন, পূর্বাচল ৩শ ফিট এলাকায় পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।
পৃথক সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন আল-আকসা মসজিদ আজ আগ্রাসনের মুখে। ইসলামের প্রথম কিবলা ও ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর পবিত্র এই স্থানকে ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা ও ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নির্বিচার হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধ। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।
তারা আরো বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিমদের আত্মার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আল-আকসা মসজিদ। সেখানে চলমান হামলা কেবল একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিক গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।
যেখানে নিরীহ শিশু ও নারীদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে মাটি, সেখানে চুপ থাকা মানে অপরাধে অংশ নেওয়া। তাই আমাদের প্রতিবাদ চলবে, যতদিন না নির্যাতন বন্ধ হয়।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে উপকূলীয় যুবারা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ যমুনা শ্রীম্প হ্যাচারির সামনে গিয়ে ধর্মঘটে যোগ দেয়।
শ্যামনগর উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির সহযোগিতায় এই ধর্মঘটের আয়োজন করে স্থানীয় যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা 'বন্ধ হোক, বন্ধ হোক; গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক', ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ’উই ওয়ান্ট জাস্টিস, প্যালেস্টাইন জাস্টিস’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ধর্মঘটে যুব জলবায়ু যোদ্ধা স.ম ওসমান গনী সোহাগের সঞ্চালনায় অংশ নেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, উন্নয়নকর্মী সৈয়দ আলী বিশ্বাস, নগর বিশেষজ্ঞ মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনজিও কর্মী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, গাজী মাহিদা মিজান, সিডিওর নির্বাহী পরিচালক গাজী আল ইমরান, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম (এসএসএসটি) ’র বুড়িগোয়ালিনী ইউনিটের সহ-সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ আল মামুন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক বিক্রম বর্মণ, শ্যামনগর অনলাইন নিউজ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মারুফ হোসেন মিলন, মানবাধিকার কর্মী রোখসানা পারভীন, বাবলু জোয়ার্দার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদী শক্তিগুলো ফিলিস্তিনকে উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে। সেখানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। বোমা হামলায় রক্ত ঝরছে নিরীহ মানুষের। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ব আর বসবাসের উপযোগী থাকবে না। আমরা ইসরায়েলের বর্বরতা ও তাদের সহযোগী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, ফিলিস্তিনে ছোট ছোট শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এই নির্মমতা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, কিন্তু বিশ্ব বিবেক যেন নির্বিকার। সভ্যতার নামে যারা আমাদের নীতিকথা শোনায়, তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কেন কথা বলে না? এই প্রশ্ন আজও রয়ে যায়। দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ক্রমাগত ফিলিস্তিনকে কোণঠাসা করছে।
খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী মো. আবু ইছা বলেন, যদি এই নিপীড়ন চলতে থাকে, তবে কয়েক বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং ন্যায়সংগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে।
বগুড়া প্রতিনিধি
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বগুড়া শহরের সাতমাথায় গ্লোবাল স্ট্রাইকে সাড়া দিয়ে বগুড়ার রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। মার্চ ফর প্যালেস্টাইন নামের এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা স্লোগানে প্রকম্পিত করছে শহরের সাতমাথা। যেখানে তারা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং গাজার নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানায়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে শহরের সাতমাথায় সমবেত হতে থাকে তরুণরা। বেলা বাড়া সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে ঐতিহাসিক সাতমাথা। শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ কর এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা স্লোগান দেন। তারা হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার বহন করে, যার উপর ইসরায়েলি অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি চাই লেখা ছিল।
প্রতিবাদে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গাজার মানুষদের রক্ষা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মানবাধিকারের পক্ষে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছি। এটি শুধু ফিলিস্তিনের নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
পরে সাতমাথা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি সাতমাথা থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সাতমাথায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।
বগুড়ায় এটি ছিল ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর কর্তৃক নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি জনতার ডাকে গ্লোবাল স্ট্রাইকের সমর্থনে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা শহরের বিভিন্ন শহর প্রদক্ষিণ করে তুষভান্ডার সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে করে কর্মসূচি শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরওয়ার জাহান রাফিন, তুষভান্ডারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনতাসির রহমান রিপন, হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ ও সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী সাব্বির আহমেদ লাভলু।
সমাবেশে বক্তারা গজায় বিচারে গণহত্যা বন্ধের দাবি করেন এবং ইসরাইলি পণ্য বর্জনের সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশি জনগণের পক্ষে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সোচ্চার ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন। গ্লোবাল স্ট্রাইকের সমর্থনে তুষভান্ডার বাজারের সকল ব্যবসায়ী দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ সোমবার বিশ্বব্যাপী হরতালের আহ্বান জানিয়েছে গাজাবাসী। এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল দশটায় শহরের ইসলামিয়া কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহর ঘুরে চৌড়হাস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে রাজনৈতিক সংগঠন, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ‘ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য ব্যবহার বয়কট করতে হবে’ স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ নির্মম হত্যায় শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
পিরোজপুর প্রতিনিধি
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার প্রতিবাদে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে পিবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যা অনতিবিলম্বে বন্ধের দাবিতে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববাসীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আমরা ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ, নারী ও শিশুদের ওপর ইসরায়েলের এমন বর্বর হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গত ১৮ মাসে প্রায় ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু থেকে শুরু করে অনেক নবজাতকও প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় ১৮ হাজার শিশু নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৩৮ হাজার শিশু তাদের বাবা-মা হারিয়েছে। ইসরায়েল একটা জাতিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে ফেলছে। এটা কারো পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এমন বর্বর হত্যাযজ্ঞের পরও বিশ্ববাসী নীরব। আমরা আজকের এই মানববন্ধন থেকে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্ববাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ না করলে একদিন বিশ্ব মানবতার কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। আপনারা দেশ ও জাতির শত্রু হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে বিবেচিত হবেন।
একসঙ্গে পিবিপ্রবি উপাচার্য ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আকতার হোসেন, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে. এম. আসলাম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। তারা অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের আসিফ আকতার বক্তব্য দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনসহ মানববন্ধনে অংশ নেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে লাগাতার বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয় ।
এ সময় ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসাইন, কেসি কলেজ প্রভাষক আলমগীর হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের পক্ষে তৌফিক হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে রত্না খাতুন, কেসি কলেজ ছাত্রদের পক্ষে তাসদিদ হাসানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, মুসলিম বিশ্ব দিনের পর দিন চুপ থাকার কারণে আজ এ পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছে । ইসরাইল ন্যাক্কারজনকভাবে যেভাবে মানুষ হত্যা করছে তা রীতিমতো মানবতার চরম লঙ্ঘন । ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো ।
সর্বশেষ বক্তারা বলেন, ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য ব্যবহার বয়কট করতে হবে। শেষে এ নির্মম হত্যায় শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয় ।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
বিশ্বব্যাপি মাজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইমাম মোয়াজ্জিন পরিষদ ও তাওহিদি জনতা৷
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ ও পাড়া মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত উদ্দীন স্কয়ারে সমাবেশে মিলিত হয়৷
উক্ত সমাবেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটসহ বিভিন্ন দাবি করে বক্তারা বলেন এই বাংলাদেশে মদ,গাজা, মাদকের মত আইন করে ইসরায়েলি পণ্যও নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুসের মাধ্যমে সদ্য সফর করা জাতিসংঘের মহাসচিবের নিরবতারও জবাব চেয়েছে সুনামগঞ্জের বিক্ষুব্ধ তাওহিদি জনতা৷
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মাও মোহাম্মদ আলী খাঁন, কারি মহিবুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জিয়া উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জহির উদ্দীন, মাও আব্দুর রকিব বিশ্বম্ভরপুরি, মাও সাইদুর রহমান, মাও জসিম উদ্দীন, মাও আবু সাঈদ, মাও আব্দুল্লাহ, মাওলানা কামরুজ্জামান, মাওলানা আনোয়ার হুসাইন এনটিভির জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা সায়মন, ওসমান গনি প্রমুখ৷
অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জিয়া উদ্দীন বলেন, আমি ফিলিস্তিনের পাশে গিয়ে বর্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই। আমি একজন যোদ্ধা, যুদ্ধের ট্রেনিং করেছি৷
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হিসেবে নো ওয়ার্ক, নো স্কুল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে কালীগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ আয়োজনে সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে ইযরায়েলী নৃশংসতার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কালীগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে পথসভায় মিলিত হয়।
এছাড়াও গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যুপরি বিমান হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে একই দিন দুপুরে কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল কালীগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অন্যদিকে, একই দিন উপজেলা জামায়েতের আয়োজনে কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে আরো একটি বিক্ষোভ মিছিল কালীগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে স্থানীয় জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও কালীগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ আয়োজনে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের দোলান বাজার এলাকায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধারে ও মাজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন।
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসন ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে ঢাকার ধামরাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ অংশ নেয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার থানা রোড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এসে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান তারা। পরে মিছিল নিয়ে ঢুলিভিটা হয়ে ধামরাই বাজারসহ পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে ’ইসরাইল নিপাত যাক’, ’আমার ভাই মরলো কেনো, জবাব চাই, জবাব চাই’, ’ইসরাইলি পণ্য, বয়কট, বয়কট’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, নিরীহ গাজাবাসীদের উপর বর্বরোচিত হামলায় হাজার হাজার সাধারণ জনগণ, শিশু ও নারী পুরুষ মারা যাচ্ছে। আজ বিশ্ব মানবতা কোথায়। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে আমরা তার নিন্দা জানাই। এর প্রতিবাদ জানাই। গাজাবাসীদের দিকে তাকালে মনে হয় আজ বিশ্ব মানবতা, নীতিনৈতিকতা ও বিবেক সব অন্ধকারে মিশে গেছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জুবায়েদ আলম পিয়াস নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করে কেন আবার ফিলিস্তিনের উপর হামলা করলো? তারা আইন লঙ্ঘন করেছে। আজ বিশ্ববাসীর কাছে অনুরোধ আপনারা গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ান। কেন আজ মুসলিম বিশ্ব চুপ করে আছেন। নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা করে হত্যা করা হচ্ছে তাদের। আজ তারা অসহায়। বিবেক কোথায়।
আদনান আহমেদ হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আজ বিশ্ব মানবতা চুপ কেন। আমেরিকার অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিন গাজাবাসীদের উপর নির্মম গণহত্যা চালাচ্ছে। নারী পুরুষ ছোট শিশুসহ কেউ বাদ পড়ছে না। সকলকেই ধরে ধরে হত্যা করছে। বিশ্ব বিবেকের কাছে আজ প্রশ্ন কেন এই বর্বরতা, নৃশংসতা। এই হামলা বন্ধ করতে হবে।
দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইনের ডাকা বিশ্বজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধে সাড়া দিয়ে ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ধামরাই সরকারি হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, কালামপুর ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল এন্ড কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা গণহত্যা বন্ধে দ্রুত যাতে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্টরা যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই দাবি জানান।
সাভার প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসন ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে সাভারের আশুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা নিটারের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসের ‘ইয়ার্ন শেড’ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এতে নিটারের পরিচালক প্রফেসর ড. আশেকুল আলম রানা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান বোরহান উদ্দিন বান্না, লেকচারার আবির খান, সিএসই বিভাগের লেকচারার মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মুয়াজ রহমানসহ শিক্ষকরা অংশ নেন।
মিছিলে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’সহ নানা স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
এতে শিক্ষকরা বলেন, এখন নীরব থাকা মানে অন্যায়ের সঙ্গী হওয়া। এজন্য ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদ্বয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ চলমান রাখার আহ্বান জানান তারা।
এদিন দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন এর ডাকা বিশ্বজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধে সাড়া দিয়ে নিটারের বিভিন্ন বিভাগসমূহ পরীক্ষা ও ক্লাস-কার্যক্রম বর্জন করে।
ফেনী প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে ফেনীতে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচির আওতায় নো ওয়ার্ক, নো স্কুল পালন করা হচ্ছে। এ বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে পুরো জেলা শহর।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাসহ তরুণ প্রজন্ম বিক্ষোভে পেটে পড়ে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরাসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এতে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এছাড়া দুপুরে (বাদ যোহর) শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কস্থ জহিরিয়া মসজিদের সামনে থেকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা শাখা ও বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শহর শাখার উদ্যোগে ট্রাংক রোডস্থ ফেনী বড় জামে মসজিদের সামনে থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেদক, সিলেট
ফিলিস্তিন ভাসছে নিজের ভাইয়ের রক্তে। মা-বোন-সন্তানদের আকাশভাঙা কান্নায় দিন-দুপুরে অমাবশ্যা গাজা-রাফায়। হাজারো মাইল দূরে হলেও এই অবস্থায় কি ঘরে বসে থাকা যায়!
তাইতো সিলেটের রাস্তায় নেমে আসলেন মুসলিম আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। উঠলেন গর্জে, সিলেট পরিণত হলো হলো মিছিল-বিক্ষোভের শহরে।
ফিলিস্তিনে খুনি রাষ্ট্র ইসরায়েলের অবিরাম বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) সিলেটে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সর্বস্তরের মুসলিম জনতা।
বেলা ১১টা থেকে মহানগরের চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন তাওহিদি ও ছাত্রজনতা। জোহরের নামাজের পরে কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায় পুরো চৌহাট্টা এলাকা।
অপরদিকে বাদ জোহর মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে বন্দরবাজারে আসতে থাকেন মানুষজন। এসময় মিছিল-স্লোগানে প্রকম্পিত হয় যেন পুরো সিলেট।
বিএনপি, জামায়াত, খেলাফত মজলিশ, ইসলামি আন্দোলন, জমিয়ত, আইনজীবী ফোরাম, আঞ্জুমানে আল ইসলাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন মিছিল নিয়ে মিলিত হন বন্দরবাজারে। পরে সেখান থেকে সবাই জড়ো হন চৌহাট্টায়।
বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা খুনি রাষ্ট্র ইসরাইলের শাস্তি দাবি করেন জাতিসংঘের কাছে। এছাড়া মজলুম ফিলিস্তিনবাসীর জন্য সাহায্য কামনা করে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করেন সবাই।
বক্তারা বলেন- আমরা সবাই হয়ত ফিলিস্তিনে গিয়ে জিহাদ করতে পারবো না। কিন্তু ইসরাইলি পণ্য বয়কট করে এই জিহাদে শরিক হতে পারবো। তাই এখনই আমাদেরকে খুনি রাষ্ট্রের সব পণ্য বর্জনের কঠিন শপথ নিতে হবে।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত চৌহাট্টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় চৌহাট্টার চারদিকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত ছিল মিছিলের দীর্ঘ সারি।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগেরই মাথায় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ লেখা কাপড় ছিল। শরীরে জড়ানো ফিলিস্তিনের পতাকা। এছাড়া হাতে ফিলিস্তিন এবং বাংলাদেশি পতাকাও ছিল।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
মসজিদুল আকসাসহ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববাসীর প্রতি ঐক্যের ডাকে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ জনসাধারণ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে দল দলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠ) মাঠে জমায়েত হন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বরে অবস্থান করে। সেখান থেকে আবার বিক্ষোভ মিছিলটি চৌরাস্তায় এসে অবস্থান নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ব্যাপী চলে এই বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, অ্যাকশন টু অ্যাকশন ইসরাইলের বিরুদ্ধে, অ্যাকশন টু অ্যাকশন আমেরিকা বিরুদ্ধে, অ্যাকশন টু অ্যাকশন নেতানিয়াহ‘র বিরুদ্ধেসহ ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করার স্লোগান দেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।
ফিলিস্তিনে পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করে তারা বলেন, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষদের হত্যা করে চলেছে ইসরায়েল। আর বিশ্বের বড় বড় মুসলিম দেশগুলো চেয়ে চেয়ে দেখছে। সেই ইহুদিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে জিহাদ। তাই যেকোনো মুহূর্তে বিশ্বের মুসলিমদের জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তারা। এছাড়া শুধু বিশ্বের মুসলিম নয় বিশ্বের সকল মানুষকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর অনুরোধ করে তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা দাবি ও জাতিসংঘকে গণহত্যার বিচারের দাবিসহ ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করার জন্য বাংলাদেশের সকলকে অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে একই দিনে ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইল কর্তৃক গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা, বাংলাদেশ ওলামা পরিষদ সহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন।
রাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী “No Work, No School” কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। সকালে দুই ঘণ্টা অফিস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করে রাবিপ্রবি প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ সকাল ১১:১৫টায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিবাদ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ক্লাস, ল্যাব, পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়নি শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে রাবিপ্রবির উপাচার্য ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা ও পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনের মানুষ নির্যাতিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা অবর্ণনীয়, মানুষ খাদ্য ও পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। শিশু ও নারীদের ওপর নির্যাতন হৃদয়বিদারক।আমরা সমাজের মানুষ হিসেবে মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাই। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাই—ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরে আসুক।
এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা, ওআইসি ও জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাই সকল আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থার প্রতি আহ্বান—গণহত্যা বন্ধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, মুন্সীগঞ্জ
দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধারে ও অত্যাচারিত ফিলিস্তিনের সমর্থনে টঙ্গীবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল ) বেলা ১২টায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা মাঠ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি টঙ্গীবাড়ী বাজার প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়।
সাধারণ ছাত্র জনতা ও মুসলিম জনতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি খেলাফত মাওলানা উবায়দুল্লাহ রব্বানী, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা বি এন পির দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব ইসলাম রন্টি, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ছাত্রশিবির এর সাবেক সেক্রেটারি মো. সাব্বির হোসেন, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ টংগিবাড়ী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা সাজ্জাদ আল-হুসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টঙ্গীবাড়ী থানা প্রতিনিধি মো. ফয়সাল আহমেদ। নারী প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন দশম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতিত্ব ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি মিসবাহ আবুবকর, পরিচালনা জামায়াতে ইসলামীর রুকন মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন। মাওলানা সাইফ সাইফুল্লাহ, সেলিম বেপারি নাঈম বেপারি , লিটন ফকির, মোহাম্মদ নূরসহ আরো অনেকে।
এ সময় উপস্থিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী ফিলিস্তিনি নিরীহ জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে।নির্বিচারে হত্যা করছে। ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে।চলমান হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরায়েল দায়ী। ফিলিস্তিনির মুসলিম জনগণের পক্ষে সমগ্র মুসলিম জাহানের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।
সভা শেষে মুসলিম জাহানের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
টেকনাফ প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের সমর্থনে টেকনাফে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) টেকনাফ পৌরসভাস্থ শাপলা চত্বরে টেকনাফের তৌহিদী জনতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বেলা আড়াইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বর এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা “ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই”,“বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর” বলে স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,গাজাবাসীসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ প্রতিনিয়ত নৃশংস হত্যা,নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হচ্ছে। লজ্জার বিষয় আমরা এখনো এই বর্বরতার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি। গাজাসহ বিশ্বে মুসলিম উম্মাহদের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে তা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিকল্প নেই।
এ সময় ইসরাইলি বর্বরতার বিপক্ষে লেখা নানা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীসহ টেকনাফের তৌহিদী জনতা। শিক্ষার্থীসহ টেকনাফের তৌহিদী জনতারা বলেন,অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি গণহত্যা এবং অন্যায়ভাবে গাজাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে দোকান বন্ধ রাখেন দোকান মালিক সমিতি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে পৌর শহরের বিজয় চত্বরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ মিছিল সহকারে যোগ দেয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় ইসরাইলি কুখ্যাত ইয়াহুদী নেতানিয়াহুর প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ছাত্র ও যুবনেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, দোকান মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
পাবনা প্রতিনিধি
গাজায় ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে পাবনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ গেট থেকে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে একটি বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ চত্বরে সমবেত হয়ে শ্লোগানে কম্পিত করে।
এ সময় ছাত্র-জনাতা বক্তব্যে বলেন ইসরায়েল ন্যাক্কারজনকভাবে যেভাবে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে, সেটি রীতিমতো মানবতার চরম লঙ্ঘন। আমাদের ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করছে, আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ। এ সময় উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা সবাইকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য ব্যবহার বর্জনের পরামর্শ দেন।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মানিকগঞ্জের ছাত্র-জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০:৩০টায় মানিকগঞ্জ শহরের খালপাড়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সড়ক আটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রমজান মাহমুদ, মুহাম্মদ ওমর, আশরাফুল ইসলাম রাজু ও মেহরাব খানসহ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, খান বাহাদুর কলেজ, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ হাজারো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরাইল আমাদের মুসলমান জনগোষ্ঠীর উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। পৃথিবীর সকল রুলিং স্টেট নিশ্চুপ। সারা পৃথিবীব্যাপী মানবাধিকার সংগঠনগুলো এখনও নিশ্চুপ। প্রত্যেকের উচিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। সারা পৃথিবীব্যাপী ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে। তারা এই হত্যাযজ্ঞ না থামালে আমাদের এই প্রতিবাদ চলতে থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় ঘটে যাওয়া গণহত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গ্লোবাল স্টাইক ফর গাজা কর্মসূচির সমর্থনে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে। ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ইসরায়েলের গণহত্যাকে মানবতাবিরোধী কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। সব মানুষের জন্য এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানানো জরুরি। তিনি জিহাদের ডাক দিয়ে প্রয়োজনে ফিলিস্তিন গিয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া আহ্বান জানান।
এসময় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে বক্তব্য ও দোয়া মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
কুমিল্লা প্রতিনিধি
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ফিলিস্তিনে শান্তি মিশনে পাঠানো, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানানোসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) নগরীর কান্দিরপাড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-শিক্ষকরা এ সময় তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেন।
তারা দারি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ফিলিস্তিনে শান্তি মিশনে পাঠাতে হবে। আর এটাতে যদি সরকার ব্যর্থ হয় তবে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক; ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে; ইসরায়েলকে যেসব রাষ্ট্র সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করছে সেসব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তাদের কাছ থেকে সব ধরনের পণ্য বাংলাদেশে বয়কট করতে হবে; ইসরায়েল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানাতে হবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান নিতে হবে; বাংলাদেশে ইসরায়েলের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে অনতিবিলম্বে সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমরা সবাই যেন প্রতিবাদী হই। আমাদের সমগ্র মুসলিম উম্মা যেন জাগ্রত হই। সবাই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াই।
হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, আমরা চাই জাতিসংঘ আমাদের মুসলিম ভাই ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকতে হবে। নেতানিয়াহুকে ফাঁসি দিতে হবে। সবাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
তারা আরও বলেন, আমরা যখন এখানে উপস্থিত হয়েছি তখন ফিলিস্তিনে হামলা হচ্ছে। আমরা কীভাবে প্রতিবাদ না করে থাকতে পারি। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা মুসলিমরা আমাদের দায়িত্বের কাছে হেরে গিয়েছি। আমাদের সবাইকে পথে নামতে হবে। ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কট করতে হবে।
এছাড়াও নাগরিক পার্টির নেতারা সারা বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত হয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার চালানোর তীব্র নিন্দা জানান।
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলে ভূঞাপুর ওলামা মাশায়েক আম্মান পরিষদের নেতৃত্বে তৌহিদী জনতাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া মাওলানা মুফতি শামীম বলেন, ‘গাজায় নেতানিয়াহুর ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় মসজিদে থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমেরিকার ইন্দনে ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
ওলামা মাশায়েক পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম ভূঞাপুরি বলেন, আমরা ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ভূঞাপুরের ওলামা মাশায়েক ও ধর্মপ্রাণ তৌহীদি জনতা মাঠে নেমেছে, শীঘ্রই এ আগ্রাসন হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল এসময় ভূঞাপুর বাজারের সকল দোকানিরা দোকানপাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভে অংশ নেন।
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর সন্ত্রাসীরাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ভোলার লালমোহনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমোহন উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে লালমোহন পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার মোড়ে এসে শেষে হয়।
চৌরাস্তার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি হাসনাইন আল মুসা, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক নোমান ও উপজেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা নূর মোহাম্মদ হেলালী প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্য বলেন, সন্ত্রাসবাদী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর বর্বরতা হামলার চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সহ পৃথিবীর সকল মুসলিম রাষ্ট্র এখনো চুপ করে বসে আছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। লালমোহনের সকল মুসলমানগণ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জন করলাম। আজ থেকে লালমোহনে ইসরাইলি কোন পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং কোন ব্যবসায়ীকে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করতে দেয়া হবে না।
এসময় গাজাবাসীর সমর্থনে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে অংশ গ্রহণ করে। তারা গাজাবাসীর সমর্থনে এবং ইহুদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নানা ফেস্টুন, ব্যানার, প্লাকার্ডসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগে যোহরের নামাজের পর থেকে লালমোহনে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর সর্বস্তরের মানুষ ফিলিস্তিনে চলমান নির্মম গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অন্তত ১০টি সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
এ সময় সমাবেশগুলো থেকে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহিদ ফাহমিন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ স্টপ জ্যানোসাইডসহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে বেলা ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সামনে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও যোহরের নামাজ শেষে শহরের মডেল মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে শহরের মুক্তির মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আল-আকসা রক্ষায় অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ, আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির আহ্বান জানিয়ে ইসরাইলকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করতে তাদের পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেন সবাই।
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের হলুয়াঘাট উপজেলার যুগলী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন গজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বব্যাপি তুমুল প্রতিবাদ বিক্ষোভে ইসরায়েলের আগ্রাসী শক্তির মোকাবেলা করতে হবে । ফিলিস্তিনীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি বলেন ফিলিস্তিনি নারী পুরুষ, শিশু সন্তানদের ওপর বর্বরোচিত ইসরাইলী হামলায় বিশ্ব মানবতা চুপ করে বসে থাকতে পরে না।
তিনি ইসরায়েলের হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘকে সক্রিয় হবারও আহ্বান জানান।
সোমবার (৭ এপ্রিল) কর্মী সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলী দখলদার বাহিনীর ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসালামী।
সোমবার (৭ এপ্রিল) মিরসরাই পৌর সদরের উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এ বিক্ষোভ মিছিলে ৫ সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলাউদ্দিন শিকদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতে আমির নুরুল কবির, মিরসরাই পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা শিহাব উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বিকল্প জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত করে ইসরায়েলের শাস্তি দাবি করেন।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সোমবার (৭ এপ্রিল) আসরের নামাজের পর সুনামগঞ্জের কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদ থেকে বের হওয়া মিছিলটি পুরাতন বাসস্টেশন হয়ে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়৷
জামায়াতে ইসলামি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ স্যারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন, জেলা জামায়াতে ইসলামি নায়েবে আমির মোমতাজুল হাসান আবেদ, নায়েবে আমির ও জামায়াত কর্তৃক সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সামসুদ্দীন৷
সমাবেশে শিবির সভাপতি তুহিন বলেন, আমার মুসলিম ভাই-বোনদের উপর ইতিহাসের যে ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ও বিগত দুই দিনের হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে বিশ্বের মানচিত্রে তাদের অস্তিত্বের সুযোগ হারিয়েছে৷ তাদের বর্বরতার কারণে পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ইসলাইল সন্ত্রাসীদের বাচার সুযোগ নেই। ইসরায়েল বাহিনীকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করবো৷
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমির ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খাঁন বলেন, মাহে রমজানের শেষ দশক থেকে লক্ষ করছি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী ইসরায়েল বাহিনীরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর বোমা মেরে নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকেও হত্যা করছে। তাদের অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু গুড়িয়ে দিচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এই বর্বরতার দ্বিতীয় কোন নজির নেই। আমরা এই ইসরায়েল সন্ত্রাসী বাহিনীর ধ্বংস কামনা করছি৷
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্্যে করছি ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলো মুসলমানদের পক্ষে জোড়ালো ভূমিকা না রেখে ইসরায়েল ও পরাশক্তি দেশের গোলামি করছে।
জামায়াতে আমির আরও বলেন, খাদিমুল হারামাইন, শরিফাইন উপাধি ধারণ করে আমার রাসুলের জিম্মাদারি করার জন্য এরা যোগ্যতা প্রদর্শন করতে পারে নাই৷
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুস সাত্তার আল মামুন, মাসুক স্যার, নুরুল ইসলাম, বিশ্বম্ভরপুর জামায়াত নেতা হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক, ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা জহুর মিয়া, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কবির, আইনজীবী মো. হেলাল প্রমুখ৷