Logo

সারাদেশ

স্কুলের মালামাল চুরি, প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৪

স্কুলের মালামাল চুরি, প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের আসনে বসেও চোরের ভূমিকায় নাম লেখালেন সায়েদুল ইসলাম ওরফে মন্টু মাস্টার। বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক, লোহার রড, টিন, দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও রুজু করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্তে সায়েদুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, গত শনিবার (১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ছুটির দিনে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনের টিন, জানালা, লোহার রড, দরজা ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক গোপনে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। এর আগেই (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিছু মালামাল কৌশলে বিক্রি করে দেন তিনি। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করেন এবং উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের নির্দেশে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বিদ্যালয়ে ছুটে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় চুরি হওয়া কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পরদিন (২ মার্চ) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদের স্বাক্ষরিত আদেশে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, নিশিত কুমার বিশ্বাস, শওকত আলী ফকির ও এবিএম রফিকুল হাসান খান।

তদন্ত কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তিও সংযুক্ত করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য জানান, প্রধান শিক্ষক সায়েদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত ছিলেন। একবার শাস্তিমূলক বদলি হলেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি পুনরায় বিদ্যালয়ে ফিরতে সক্ষম হন। এবার আর পার পাননি—ধরা পড়েছেন প্রমাণসহ। তারা এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

শফিক আল কামাল/এটিআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর