টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মঈননগর এলাকায় ৫ মার্চ এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারটি মৃত্যুর হুমকি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, বলে বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মির্জাপুর সাংবাদিক সংস্থায় এসে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন আহত আবু তালেব ও তার স্বজনরা।

এ ঘটনায় গোড়াই খামারপাড়া গ্রামের মৃত তারিফ উদ্দিনের ছেলে মো. মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, গোড়াই খামারপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন পাখি, লোকমান, হানিফ সাধু, জোবায়ের, তোফাজ্জল, আকরাম, জামান, শিশির, তারা মিয়া, আল ইমরান আকাশ। এছাড়া আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মারধরের শিকার আবু তালেব ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ৫ মার্চ মেসার্স কেবিএম-৩ ব্রিকসের সামনে দিয়ে একটি ইটের ট্রাক যাওয়ার সময় সেটি আটকিয়ে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিবাদীরা। পরে খবর পেয়ে শফি ও আবু তালেব ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এ সময় আবু তালেব, তার ভাই শফি, ছেলে রাসেল, স্টাফ শরিফ ও মিলনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং তাদের মধ্যে আবু তালেব ও রাসেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও তাদের অবস্থা অবনতি হলে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাদের কিডনি বিকল হয়ে গেছে এবং ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় উভয়পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

রাব্বি ইসলাম/এমআই