প্রতারণার মামলায় সাবেক চিফ হুইপের ভাইয়ের কারাদণ্ড

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৪০

চেক প্রতারণা মামলায় পটুয়াখালীর বাউফলের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজের ছোট ভাই এ.কে.এম ফরিদ মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি আশি লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. বিল্লাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদী ছিলেন প্রো. মেসার্স হোসেন অ্যান্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী এ.টি.এম মোকাম্মেল হোসেন।
জানা গেছে, ফরিদ মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে বাউফল উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে নানা বিতর্ক ও দেনা-পাওনা সম্পর্কিত অভিযোগ ছিল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন সুজন বলেন, ‘ফরিদ মোল্লা ব্যবসায়িক লেনদেনের সূত্রে এক কোটি আশি লাখ টাকা গ্রহণ করেছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিল পাওয়ার পর দ্রুত পরিশোধ করবেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর ফরিদ মোল্লা তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মনিরা এন্টারপ্রাইজ’র মাধ্যমে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, পটুয়াখালী শাখার একটি চেক (হিসাব নম্বর ২১-১৯৯৭, ক্যাট নং বি১৫৯২০১৭) প্রদান করেন। এই চেকটি একই দিন পটুয়াখালী রূপালী ব্যাংক লিমিটেড নিউ টাউন কর্পোরেট শাখায় জমা দিলে তা ডিজঅনার (প্রত্যাখ্যান) হয়।
এর পর, ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি বাদীপক্ষ ফরিদ মোল্লার নামে ৩০ দিনের সময়সীমা দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় মামলাটি করা হয়।
পাঁচ বছর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আদালত ফরিদ মোল্লার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে।
আইনজীবী আল আমিন সুজন বলেন, ‘এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আরিফুল ইসলাম সাগর/এমআই