বিক্ষোভের পর ইউএনও’র হস্তক্ষেপ
পরীক্ষার আগের রাতে প্রবেশপত্র দেওয়া হয় ১১ শিক্ষার্থীকে

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫১

পরীক্ষার আগের দিন বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে এসএসসির প্রবেশপত্র পাননি নীলফামারীর গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১১ শিক্ষার্থী। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরীক্ষার আগের রাতে প্রবেশপত্র পান তারা।
অভিভাবকরা জানান, গয়াবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি-২০২৫ সালের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার আগের দিনও তাদের প্রবেশপত্র হাতে না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেন। দিনভর এমন অস্থির পরিস্থিতির পর সন্ধ্যায় ইউএনও মো. রাসেল মিয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া গয়াবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন ফিলিপকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত হন।
পরবর্তীতে ইউএনও মো. রাসেল মিয়ার অনুরোধে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ওই ১১ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র রাতেই হস্তান্তর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে গয়াবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গেলে ১১ জন তা পাননি। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা স্কুলের অফিস সহকারী (স্কুল শাখা) মো. ফেরদৌস হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. রাসেল মিয়া দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলারের সাথে যোগাযোগ করে বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ জানান। ফলে শিক্ষাবোর্ড রাতেই উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেয়। প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
অভিভাবক ইনছান আলী বলেন, ‘এডমিট নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, তাই আমরা আন্দোলন করছিলাম। ইউএনও স্যারের অনুরোধে আমরা শান্ত হয়েছি। রাতের মধ্যেই আমার সন্তানের এডমিট পেয়েছি। খুব খুশি লাগছে। আমার সন্তান এখন পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে যারা এর জন্য দায়ী, তাদের শাস্তি দাবি করছি।’
আরেক অভিভাবক নবাব আলী বলেন, ‘ইউএনও স্যার ও বোর্ডের অফিসার স্যারদের আল্লাহ ভালো করুক। এডমিট না পেলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের একটি বছর নষ্ট হয়ে যেত। এমনিতেই লেখাপড়ার যা অবস্থা!’
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বোরহান উদ্দিন প্রবেশপত্র বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপে এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সমস্যার সমাধান হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পরবর্তীতে ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারীসহ যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাসেদ খান/এমজে