-67f8b2da558b2.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পটুয়াখালীর বাউফলের বিলবিলাস গ্রামে হামলা, মারধর ও মাছ লুটের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ‘যুবদল নেতা’ ফরিদ গাজীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট।
পুলিশ জানায়, রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে দুপুরে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার দেখায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, বিলবিলাস গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার ভাতিজা কবির খানের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বিষয়টি সালিশ ও আদালতের আওতায় থাকলেও ঢাকায় অবস্থানরত মিজানুর রহমানের অনুপস্থিতিতে কবির খান রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সুযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক লাঠিয়াল ও বর্তমান যুবদল নেতা ফরিদ গাজীকে সঙ্গে নিয়ে মিজানুরের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার গভীর রাতে মিজানুরের পরিবারসহ প্রতিবেশী কয়েকটি অসহায় পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের মারধর এবং পুকুরের মাছ লুটের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, থানায় এজাহার দিতে গেলে ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন ফরিদ গাজীর নাম বাদ দিতে বলেন।
পরে গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় গেলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মুজাহিদ বলেন, আমরা শুধু বলেছি আগামী ২০ তারিখে পারিবারিক সালিশ আছে। তাই নিজেদের মধ্যে সমাধান করা যায় কি না, সেটা ভাবতে। কাউকে ভয় দেখানো হয়নি।
তবে ভুক্তভোগীর দাবি, সালিশের নামে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার ফরিদ গাজী দাবি করেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। নিজ দলের ভেতরের কিছু ‘ফ্যাসিবাদী দোসর’ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ফরিদ গাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজাহারে থাকা অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/এমবি