জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও ফেনীতে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের পাশাপাশি ফেনী পৌরসভা নির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। 

পৌরসভার মেয়র পদে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান। শুক্রবার রাতে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত দলীয় প্রোগ্রামে জামায়াতের শহর আমির ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে মুফতি হান্নানের নাম ঘোষণা করেন। প্রার্থী ঘোষণার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ফেনীর রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়।

মুফতি আবদুল হান্নান জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির পাশাপাশি ফেনী আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকেই তিনি ফেনী ও আশপাশের এলাকায় একজন ইসলামি সুবক্তা হিসেবে পরিচিত।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনের ভোটাভুটিতে জেলা আমির নির্বাচিত হন মুফতি হান্নান। বর্তমানে তিনি দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জেলা সেক্রেটারি এবং ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শহর আমিরের দায়িত্বে ছিলেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মুফতি আবদুল হান্নান বহুবার মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা হয়। এর মধ্যে চার দফায়—২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কারাবরণ করেন তিনি।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রভাগে ছিলেন মুফতি হান্নান। ২০১৫ সালে গ্রেপ্তারের পর রাতে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে ‘ক্রসফায়ার নাটক’ করতে তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরানো হয় বলে দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানান।

জামায়াতে ইসলামী ফেনী শহর আমির ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, স্থানীয় জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে ফেনী পৌরসভার আগামী নির্বাচনে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাউন্সিলর পদেও প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে-যারা আল্লাহর আইন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন।

এমরান পাটোয়ারী/এমবি