
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষার্থী আহত হয়ে তাহিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একদিন পর বাড়ি ফিরেছেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্র সূত্রে, তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের বাসিন্দা জবর আলীর ছেলে সরাফত আলী (২৭), হরমুজ আলীর ছেলে রবি মিয়া (২৩), আব্দুল আলীর ছেলে মারফত আলী (২২), জবর আলীর ছেলে সালমান (২০) ও আব্দুল আলী (২৪) বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল থামিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মোটরসাইকেল চালক সুজন মিয়া বাঁধা দেওয়ায় তার উপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
থানায় অভিযোগ করার খবর জেনে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছে বখাটে সরাফত আলীর আত্মীয় স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই জানান, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায়ই সরাফত আলী কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের সালিশ ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। তবুও কোনো কাজ হয় নি। মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে সরাফত আলী সঙ্গীদের নিয়ে আমার বোনকে মারধর করে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, ‘চিকিৎসা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল তার পরীক্ষা রয়েছে।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
মো. আব্দুল হালিম/এমআই