-68031bfc59cf3.jpg)
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। একদিকে রয়েছেন কাউস মাতুব্বর ও নূর হোসেন মাতুব্বর, অন্যদিকে মোকলেস মাতুব্বর ও মিন্টু মাতুব্বর।
তিনদিন আগে মোকলেস পক্ষের জিন্নাত খালাসি তার পারিবারিক কবরস্থানে মাটি ভরাট করেন। এতে কিছু মাটি গিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ রমজান মাতুব্বরের জমিতে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে আজিমনগর মড়া বাজারের ব্রিজের ওপর মোকলেস ও নূর হোসেনের মধ্যে ফের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র—ঢাল, কাতরা, টেটা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা চলে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত মজিবর হাওলাদার (৬০) ও মাসুম হাওলাদার (২৫)-কে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন ইসরাফিল (৪৫), পান্না বেগম (৪০), রিয়াদ মাতুব্বর (১৯), মজি খালাসি (৫৫), বিউটি বেগম (৫০), রাবেয়া বেগম (৩৫), সামাদ মাতুব্বর (৪৮), রাকিবুল (১৮) ও মোসলেম মাতুব্বর (৪০)। তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এমএইচএস