
ছবি : বাংলাদেশের খবর
আজ (রোববার) সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় উদযাপন করছেন তাদের ধর্মীয় উৎসব ‘ইস্টার সানডে’। দিবসটি উপলক্ষে যিশুখ্রিষ্টের পুনরুত্থান স্মরণে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা অংশ নিয়েছেন বিশেষ প্রার্থনা, উপবাস ভঙ্গ এবং ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায়।
সারাদেশের মতো রাজশাহীর ‘ক্যাথিড্রাল উত্তম মেষ পালক’ গির্জায় রোববার সকালে দুই দফায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও।
তিনি বলেন, প্রভু যিশুর পুনরুত্থান কেবল ইতিহাস নয়, এটি ঈশ্বরের প্রেমের নিদর্শন। মৃত্যুকে জয় করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন—পাপের নয়, ভালোবাসা ও জীবনেরই জয় হয়।
বিশপ আরও বলেন, আমরা আজকের দিনে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বজুড়ে সংঘাত, যুদ্ধ ও নিপীড়নের শিকার মানুষের জন্য প্রার্থনা করছি। যেন তাদের জীবনেও পুনরুত্থানের আলো আসে।
গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নিতে আসা খ্রিষ্টান অনুসারী তরুণ এলিও মার্ডি বলেন, গুড ফ্রাইডেতে যিশুর যন্ত্রণা ভোগের চিন্তা করে কেঁদে ফেলেছিলাম। আজ তার পুনরুত্থান আমার মধ্যে এক নতুন শক্তি জাগিয়েছে। এখন থেকে ভালোবাসা ও ক্ষমার পথেই চলব।
এর আগে, শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পালিত হয় ‘গ্রেট স্যাটারডে’। এদিন দেশের সব গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় ‘ইস্টার ভিজিল’ বা নিস্তার জাগরণী। এ সময় গির্জার অন্ধকারে জ্বালানো হয় ‘প্যাসকাল ক্যান্ডেল’। বিশ্বে যিশুর আলোর প্রতীক হিসেবে বিবেচিত এই মোমবাতি থেকে আলো নিয়ে উপস্থিত সবাই নিজেদের মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।
- জেসি