সাংবাদিকদের আন্দোলনে জামিনে মুক্ত রোকনুজ্জামান টিপু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৩৫
-680a4c1fdc4d0.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কালের কণ্ঠের সাতক্ষীরার তালা উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপু। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টায় তার মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা আপিল ও জামিন আবেদনের পর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মুক্তির পর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাংবাদিকরা টিপুকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিক টিপুকে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। একজন সাংবাদিক অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। টিপুর মুক্তি সাংবাদিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফল।’
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই-এলাহী। সঞ্চালনায় ছিলেন আবুল কাসেম। বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলো-এর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি আবু জাফর, সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রের সমন্বয়ক ও মানবজমিন-এর এস. এম. বিপ্লব হোসেন, ঢাকা টাইমস-এর মো. হোসেন আলী প্রমুখ।
মুক্তির পর রোকনুজ্জামান টিপু বলেন, ‘তালায় একটি প্রকল্পের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমি নির্যাতনের শিকার হই। আমার বিরুদ্ধে নেওয়া এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছিল অনিয়ম ঢাকার অপচেষ্টা। সারাদেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদে আমার মুক্তি সম্ভব হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার কলম চলবে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তালা উপজেলার একটি ৯ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী এম. এম. মামুন আলমের সঙ্গে সাংবাদিক টিপুর বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ইউএনও শেখ রাসেল পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬ ধারায় টিপুকে শাস্তি দেন। এ ঘটনাটি সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সাংবাদিকরা ইউএনও’র অপসারণ ও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।
আব্দুস সামাদ/এআরএস