২য় পর্ব
নিঝুম দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক, দুর্ভোগ চরমে
দ্বীপ আজাদ, নোয়াখালী
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৪
বঙ্গোপসাগর আর মেঘনার বুকে সবুজের লীলাভূমি নিঝুম দ্বীপ। এ দ্বীপে বিচ, বনায়ন আর চিত্রাহরিণ প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের মন কেড়েছেন। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এই তিন মাস হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে নিঝুপ দ্বীপ। কিন্তু গত কয়েক বছরে ধীরে কমছে পর্যটকের আনাগোনা। সরকারিভাবে ঘোষিত নোয়াখালীর প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নিঝুম দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এতে বিমুখ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
মোক্তারিয়া ঘাট থেকে নামার বাজার বিচ পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার প্রধান সড়ক। যার ৯০ শতাংশই খানাখন্দে ভরা। সড়কে ১২টি কালভার্টের মধ্যে ৬টি পুরোই ভেঙে গেছে। এছাড়া দ্বীপের অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর বেশিরভাগ এখনো কাঁচা। হাতেগোনা দুই তিনটি সড়ক ইট বিছানো হলেও সেগুলো চলাচল উপযোগী নয়।
দ্বীপের প্রধান বাহন মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারীরা।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন, রাস্তার অবস্থা খুবই ভয়ানক। বন্যার পর আরও খারাপ হয়েছে। সরকারের উচিত এদিকে নজর দেওয়া। তাহলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার এক জায়াগায় সেতু ভেঙে পড়েছে। মাটির রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাঁদা হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, ১৫ বছর আগে সড়কটি আরসিসিতে রূপান্তরের সময় বেশিরভাগ অংশে রড ব্যবহার করা হয়নি। এতে ২-৩ বছর যেতে না যেতে খানাখন্দে ভরে গেছে। নির্মাণের পর একবারের জন্যও সংস্কার করা হয়নি সড়কটি। বর্তমানে যান চলাচলের অযোগ্য এ সড়ক। ফলে প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তায় বিকল হচ্ছে যানবাহন। যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় দিন দিন কমছে পর্যটকও।
সড়কের নাজুক অবস্থা স্বীকার করে এলজিইডি বলছে, ইতোমধ্যে নতুন প্রকল্প পাস হয়েছে। দ্রুতই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। সড়কের পাশাপাশি পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য স্বল্প পরিসরে বৈঠকখানার ব্যবস্থাও থাকবে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিঝুম দ্বীপ নিয়ে আমরা কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পর্যটকদের জন্য রাস্তাঘাট ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক রাস্তা পরিদর্শন করেছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ ছিল, সেগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
দ্বীপ আজাদ/এমআই/ওএফ