মানিকগঞ্জে লোকসানের শঙ্কায় পেঁয়াজ চাষিরা
মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় জমিতে কাজ করছেন স্থানীয় পেঁয়াজ চাষিরা। ছবি : প্রতিনিধি
পেঁয়াজ চাষে অতিরিক্ত খরচের কারণে লোকসানের শঙ্কায় দিন পার করছেন মানিকগঞ্জের কৃষকেরা। প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের গুণতে হচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব যেন বাজার ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে কৃষকের মাঠেও।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় ব্যাপক আকারে হয়েছে কন্দ পেঁয়াজের চাষ। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজ চাষে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। পেঁয়াজ বীজ, শ্রমিক, সারসহ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষের খরচ প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছেছে। এত সকল খরচের মাঝেও লাভ করতে পারবে কিনা সে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। তবে পেঁয়াজ চাষে খরচ বাড়লেও বসে নেই চাষিরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার গালা, চালা, বাল্লা, গোপীনাথপুরসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই পুরোদমে চলছে পেঁয়াজের চাষাবাদ। সেই সাথে হালি পেঁয়াজের বীজতলা পরিচর্যার কাজেও ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কৃষক সুকুমার মণ্ডল জানান, ‘এ বছর পেঁয়াজ চাষে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। গত বছর প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে খরচ হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ হাজার, কিন্তু এ বছর খরচ ১ লাখ টাকারও বেশি হবে। এত টাকা খরচ করে পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যায়।’
একই ইউনিয়নের সাখিনী গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, ‘এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আমার প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো খরচ হবে। ফসল তুলতে তুলতে যদি পেঁয়াজের দাম কমে যায় তাহলে অনেক ক্ষতি হবে। আর যদি ৪ হাজার টাকার উপরে পেঁয়াজের বাজার থাকে তাহলে কিছুটা লাভ হতে পারে।’
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, ‘এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি হলেও কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। যে কারণে পেঁয়াজ চাষিদের লোকসানের সম্ভাবনা কম। এ বছর পেঁয়াজের ফলন গত বছরের তুলনায় ভালো হবে বলে আশা করছি।’
এমআই