গাইবান্ধার সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নে চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী কিশোর হোসেন মিয়াকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আহসান হাবীবকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

অভিযুক্ত আহসান হাবীব খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ভুক্তভোগী হোসেন মিয়া (১৫) খোলাহাটি ইউনিয়নের রথবাজার মাঝিপাড়া গ্রামের মো. আনছার আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল হাসানের নির্দেশে ইউপি সদস্য আহসান হাবীবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুম হক্কানি।    

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল হাসান বলেন, চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী কিশোরকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে রশি দিয়ে বেঁধে মারধরের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তার নজরে আসে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য আহসান হাবীবকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ওই নোটিশের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আহসান হাবীব বলেন, হোসেনকে শাসন করার জন্য পরিষদ ভবনে হাত বেঁধে রাখা হয়। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধার দিকে সুপারি চুরির অভিযোগে কিশোর হোসেন মিয়াকে ধাওয়া করে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের গ্রিলের লোহার রড়ের সঙ্গে তার দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় হোসেনের মাথা ও মুখ চেপে ধরাসহ তাকে মারধর করেছেন কয়েকজন যুবক। প্রায় দুই ঘণ্টা আটক রাখার পর পরিবারের লোকজন ডেকে রাতেই হোসেনকে ‘ভালো হওয়ার শর্তে’ তুলে দেন ইউপি সদস্য আহসান হাবীব। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ইউপি সদস্য আহসান হাবীব শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়। 

আতিকুর রহমান/এমজে