সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে হাড় কাঁপানো শীত ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে চুয়াডাঙ্গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে ৪ ডিগ্রি কমে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর আজ শুক্রবার তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ। জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিচ্ছেন এসব রোগী। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তারা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছেন না। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে বের হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক আব্দুল আলিম প্রতিদিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রেলস্টেশনে বসে থাকেন। তীব্র শীতে খুব কষ্ট হলেও দু-চারজন যাত্রী পেলে তার স্বস্তি। তিনি বলেন, 'পেট চালাতে হলে এসব শীতে কিছু হয় না। শীত তো লাগেই, কিন্তু কিছু করার নেই।'

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, ‘শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এর মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। তবে এসময় ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।’

এমআই