মানিকগঞ্জের  সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী  অফিসের অধীনে  উন্নয়নমূলক  কাজের  তদারকির দায়িত্ব পালন করছেন ইলেকট্রেশিয়ান ও  চতুর্থ শ্রেণীর  কর্মচারী। এই জন গুরুত্বপূর্ণ কাজের তদারকির দায়িত্ব তাদের হওয়ায় কাজের টেকসই মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। 

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রকৌশলী ও কার্য সহকারীদের দিয়ে এসব কাজ সুপারভাইজেশনের কথা থাকলেও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রকৌশলী কাজের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনভিজ্ঞ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে তদারকি করাচ্ছেন ।  

জয়মন্টপ ইউনিয়নের  চরদূর্গাপুর ( মিরির চর), চান্দহরের মাধবুর ব্রিজ, বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। 

ওই স্কুলসহ একাধিক নির্মাণ কাজের তদারকি করছেন উপজেলা পরিষদের ইলেকট্রেশিয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন। তার সাথে দেখা যায় বহিরাগত সৌরভ নামের এক যুবক। সাংবাদিকদের অবস্থান টের পেয়ে কাজের তদারকিরত বিহরাগত ওই যুবক লাপাত্তা হলেও ইলেকট্রেশিয়ান শেষ পর্যন্ত নির্মাণ কাজের উপাদান সামগ্রী মিক্স কার্যক্রম তদারকি করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী সৌরভের চাকুরি কয়েক মাস পূর্বে বাদ হলেও উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে   উপজেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ দিব্যি তদারকি করছেন তারা। তাদের সংশ্লিষ্ট কাজের উপর নেই কোনো  প্রাতিষ্ঠানিক সনদ ও অভিজ্ঞতা।  এসব তোয়াক্কা না করেই উন্নয়ন কাজের তদারকি করছেন তারা। ফলে সংশ্লিষ্ট অফিসে কর্মরত প্রকৌশলী কার্যকারী সহকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।  

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। প্রজেক্টের কাজ আমি নিজেই তদারকি করছি। সহকারী প্রকৌশলীও উন্নয়ন কাজের সাইটে থাকার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’

সাইফুল ইসলাম/এমআই