Logo
Logo

সারাদেশ

১২ বছরেও বাঁচানো যায়নি টেংরা-ছকিনার একটি বাচ্চাও

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৫

১২ বছরেও বাঁচানো যায়নি টেংরা-ছকিনার একটি বাচ্চাও

বরগুনার তালতলীর টেংরাগিরি ইকোপার্কে কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপনের ১২ বছর পার হলেও কুমিরের একটি বাচ্চাও বাঁচানো যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাবে ও অবহেলায় বাঁচানো যায়নি কুমিরের বাচ্চাগুলোকে। যদিও বন বিভাগের দাবি, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে কুমিরের বাচ্চা বাঁচাতে পারছেন না তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালে বরগুনার তালতলীর টেংরাগিরি ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে ইকোপার্ক নির্মাণ করে সরকার। তখন পার্কের মধ্যে দুটি কুমির নিয়ে স্থাপন করা হয় কুমির প্রজনন কেন্দ্র। টেংরাগিরি বনের নামে পুরুষ কুমিরটির নাম রাখা হয় টেংরা। আর ছকিনা গ্রামের পাশে এই বনাঞ্চল হওয়ায় স্ত্রী কুমিরটির নাম রাখা হয় ছকিনা। প্রজনন কেন্দ্র স্থাপনের ১০ বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কুমিরের বাচ্চা বাঁচাতে পারেনি প্রজনন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর কুমির ডিম পাড়ে, ডিম ফুটে বাচ্চাও হয়। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন কুমিরের বাচ্চাগুলোকে সঠিকভাবে লালনপালন ও পরিচর্যা না করায় বাঁচানো যাচ্ছে না একটি বাচ্চাও। কুমিরের বাচ্চাগুলো বড় করতে পারলে সেগুলোকে রপ্তানি করে সরকার আয় করতে পারত বলে দাবি তাদের।

রাজু আহম্মেদ, খোকন, রুহুলসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয়রা বলেন, তালতলী বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিকতার অভাবে ও উদাসীনতার কারণে তারা ১০ বছরেও কোনো কুমিরের বাচ্চা বাঁচাতে পারেনি। এমনকি তারা কুমিরকে ঠিকমতো খাবারও দেয় না। দর্শনার্থীরা যে খাবার নিয়ে যায় তা খেয়েই বেচে থাকে কুমিরগুলো।

তবে বন বিভাগের দাবি, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পরে বাচ্চাগুলোকে উদ্ধার করে আলাদা স্থানে রাখতে হয়। কিন্তু বাচ্চাগুলোকে সংগ্রহ করে আলাদা স্থানে নিয়ে যাওয়ার মত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল বরগুনা বন বিভাগের নেই। তাই তারা এই দীর্ঘ ১০ বছরে একটি বাচ্চাও বাঁচাতে পারেনি।

বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বাচ্চা দেওয়ার পরে পুরুষ কুমিরটা বাচ্চাগুলো খেয়ে ফেলে। কিন্তু বাচ্চাগুলো সংগ্রহ করে নার্সিং করার জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল দরকার তা আমাদের নেই। তাই বাচ্চাগুলো বাঁচাতে পারছি না।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর