শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
মাল্ডিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৫
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাজারের চাহিদা বিবেচনায় রেখে একটু বেশি লাভের আশায় সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, বরবটি, মুলা শাক, পালং শাক, বেগুন, শিম, মুলা, টমেটো ও শসাসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ ও পরিচর্যা শুরু করেন কৃষকরা।
তিন থেকে চার সপ্তাহ পর এসব সবজি বাজারজাত করবেন এমনই আশা করছেন এখানকার কৃষকরা। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে লাভের আশায় চাষ করা হচ্ছে এসব সবজি। শীতের এই মৌসুমে উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবেন কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো ফসল আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে। তাই মুনাফাও অনেক বেশি হয়। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফুলকপি ও বাঁধাকপির জুড়ি নেই। ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে কৃষকরা উপজেলা সদরে নিয়ে গেলেই পাইকারি বিক্রেতারা তাদের কাছ থেকে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যান। এখানে মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, লাউ ২৫-৩০ টাকা ধরে পাইকারি বিক্রি করেন কৃষকরা।
থেতরাই ইউনিয়নের রামপ্রসাদ ফকির পাড়া গ্রামের কৃষক আবু তাহের জানান, ছোটকাল থেকে বাবার সঙ্গে সবজি চাষ করি। ফুলকপি, বেগুন, লাউ, শসা ও মুলা প্রায় ১ একরের মতো জমিতে চাষ করতেছি। প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি তার থেকেও ভালো বেনিফিট পাবো বলে আশাবাদী।
আরেক তরুণ কৃষক উদ্যোক্তা জাকির হোসেন বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি কৃষি খাত নিয়ে কাজ করি। এবার আমি হাইব্রিড সরিষা আবাদ করেছি। এতে প্রায় খরচ হয়েছে ৪০-৫০ হাজারের মতো। বাজার ঠিকঠাক থাকে তার দ্বিগুণ মুনাফা পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, এবারে আমাদের উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ৯ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী।
এমবি