কুয়াকাটার কাছে সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা চর বিজয়ে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা ভূমি প্রশাসনের উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। যা চর বিজয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে। এতে সেন্টমার্টিনের মতো চর বিজয়ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

এদিন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

স্থানীয় জেলেরা জানান, ২০১৫ সালে এটি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ‘চর বিজয়’ নামে আখ্যায়িত করেন। তবে এই চরটি জেলেদের কাছে ‘হাইরের চর’ নামেই পরিচিত। বর্ষায় এই চরটি পানিতে ডুবে থাকে। তবে শীত মৌসুমে এটি লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখির কোলাহলে মুখরিত হয়, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এছাড়া এখানকার জেলেরা তাদের ছেঁড়া জাল বুনন এবং মাছ শুকানোর কাজে আসে।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ জানান, কুয়াকাটা থেকে ১৫ কিলোমিটার গভীরে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর বিজয়ে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা আসেন। আজ ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ১০০টি কেয়া, ৩০০টি ঝাউ এবং ৪০০টি গোল গাছের চারা রোপণ করেছি, যা চরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটাকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় উদ্যোগ গ্রহণ করছে। নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটার মাস্টার প্ল্যানও অনুমোদিত হয়েছে, যা কুয়াকাটাকে একটি বিশ্বমানের পর্যটন স্পটে পরিণত করবে। সেন্টমার্টিনের মতো চর বিজয়ও ক্রমশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

এমবি