ভোলায় ৩ গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান : দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের সম্ভবনা
বাসস
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৬
একে একে তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মেলায় ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় নতুন করে শিল্পায়নের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশা জাগাচ্ছে নতুন শিল্পায়নের। এমনটি হলে দক্ষিণের এজেলাগুলোতে শিল্পায়নে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। বিশেষ করে শিল্প কল-কারখানা তৈরীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছেন দ্বীপাঞ্চল জেলা ভোলার ২০ লক্ষাধিক মানুষ।
সূত্রমতে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাঁচিয়া ইউনিয়নের শাহবাজপুরে গ্যাসের ফের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে বাপেক্স। এরপূর্বে ১৯৯৪ সালে জেলার শাহবাজপুরে, ২০১৭ সালে জেলা সদর ভোলা নর্থে এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে জেলা সদর ভোলার ইলিশায় পৃথক তিনটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান লাভ করে সরকার। এসব গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে শাহবাজপুরে পাঁচটি কূপ উৎপাদনরত। বাকিগুলোতে এখনো উৎপাদন শুরু হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) সূত্রে জানা যায়, ভোলায় আরো বেশি পরিমাণ তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৫-২৬ সালকে টার্গেট করে আরও অন্তত পাঁচটি নতুন গ্যাসকূপ খননের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। রাশান কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে যৌথভাবে সমীক্ষা চালিয়ে ৯টি সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।
২০২৮ সালের মধ্যে ভোলায় আরো চারটি কূপ খনন করা হবে। বাপেক্স জানিয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে মোট ১৮টি কূপ খননের মাধ্যমে ৩৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা, জাহাজমারা পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটারে ত্রিমাত্রিক জরিপকাজ পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া নদী এলাকায়ও দ্বিমাত্রিক জরিপ করা হবে। দৈনিক উৎপাদিত গ্যাস ভোলার তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং শিল্প ও আবাসিক খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভোলায় এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলো হলো শাহবাজপুর, ভোলা-নর্থ ও ইলিশা। তিন ক্ষেত্রে মোট ১ হাজার ৪৩৩ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) উত্তোলনযোগ্য গ্যাস রয়েছে। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ২৭৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। দীর্ঘদিন ধরে এখানে আবাসিক সংযোগে ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস ব্যবহৃত হয়ে আসছে।