ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র চলছে, চক্রান্ত চলছে। আমরা কোনো চক্রান্তের কাছে মাথা নত করবোনা। 

শনিবার(৪ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে এক ছাত্র সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে। 

ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গত ১৫ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। রাজনীতিকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছিল। কিছুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা (আওয়ামী লীগ) কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনি ক্ষমতায় আসে তারা তখনি জোর করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়। আজকে তোমাদের আন্দোলন একই সাথে জনগণেরও আন্দোলন সব মিলিয়ে হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদকে বিতারিত করতে সক্ষম হয়েছি, তখন আমাদের সামনে একটি সম্ভাবনার দ্বার এসে উপস্থিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, আজকে আমাদের যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে ঐক্য। বিশেষকরে জনগণের ঐক্যের সাথে ছাত্রের ঐক্য।  ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আরও একটি কথা বলতে চাই। সবার আগে পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করতে হবে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ৷ সেই সাথে দেশের যে রাজনৈতিক অবস্থা সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। জাতীয়তাবাদী দলের যে দর্শন, জাতীয়তাবাদের যে দর্শন সেটাকে শক্তিশালী করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

তিনি বলেন, এ দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চাই। গণতন্ত্রকে এখানে রক্ষা করতে চাই। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে চাই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখবো। এ বিষয়গুলো সামনে রেখে আমাদের এগুতে হবে। আজকে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই চক্রান্তের কাছে আমরা কেউ মাথা নত করবো না।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যদিয়ে যুদ্ধ করেছিল তারা সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক দেশ এখানে চেয়েছিল। তারা বৈষম্যবিহীন একটি রাষ্ট্র চেয়েছিল। আজকে সবখানে সবখানে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে। আজকে আমাদের বৈষম্য ও দুর্নীতিকে দূর করে জনগণের একটা সরকার যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি। পার্লামেন্ট করতে পারি। জনগণ যেন ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সব সসয় মনে রাখতে হবে, ছাত্রদের জ্ঞানভিত্তিক চর্চা করতে হবে। জ্ঞানভিত্তির রাজনীতি করতে হবে। পড়াশোনা করে দেশের ও পরিবারের কল্যাণ কিভাবে হয়, সেভাবে কাজ করতে হবে।

আবু সালেহ/এমবি