Logo

সারাদেশ

নাফ নদীতে কোস্টগার্ড-চোরাকারবারি গোলাগুলি, নিহত ১

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৬

নাফ নদীতে কোস্টগার্ড-চোরাকারবারি গোলাগুলি, নিহত ১

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদী দিয়ে মায়ানমার থেকে মাদকের চালান প্রবেশকালে কোস্টগার্ডের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই মায়ানমারের নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মায়ানমারের মংডু শহরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত ফিশিং বোট বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করলে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। 

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.সিয়াম-উল-হক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের বিসিজি স্টেশন টেকনাফ ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরীর দ্বীপের যৌথ টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

কোস্টগার্ড সদস্যরা বোটটিকে থামার সংকেত দিলে সেটি দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যদের ফাঁকা গুলির পর বোটে থাকা লোকজন পাল্টা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। শেষ পর্যন্ত বোটটি আটক করা হয়।

কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা আরও বলেন, বোট তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারী সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় ইঞ্জিন রুমে একজন মাদক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা মায়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এসেছিল। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিপুল পরিমাণ মাদক সাগরে ফেলে দেয়।

জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইব্রাহিম/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর