Logo

সারাদেশ

পুলিশ ক্যাম্প লুটের অভিযোগ ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে

Icon

লক্ষ্মীপুর (রামগতি) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২২

পুলিশ ক্যাম্প লুটের অভিযোগ ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে

লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্যাম্প ভেঙ্গে নেওয়া ও গৃহহীনদের ২টি সরকারি ঘর দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি রামগতি উপজেলার চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের চরগজারিয়া তেলির চরে ঘটে। 

রোববার (৪ জানুয়ারি) ইউপি সদস্যের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নটি বিচ্ছিন্ন দীপ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য পাঁচ বছর আগে চেয়ারম্যান বাজারের পাশে একটি টিনসেড সেমিপাকা পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। তবে মেঘনার তীব্র ভাঙনে ক্যাম্পের পাশে নদী এসে যাওয়ায় ২০২২ সালে পুলিশ ক্যাম্পটি ছেড়ে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল খায়ের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্প ঘরটি ভেঙে দরজা-জানালা, টিন, রড ও ইট নিয়ে তার বসত বাড়ীতে স্তুপ করে রাখেন।

অপরদিকে, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি মজিববর্ষ প্রকল্পের দুটি সরকারি ঘর দখল করে পরিবারসহ বসবাস করছেন। এছাড়া তার ছেলে মাকছুদ পাশ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণি কক্ষ দখল করে মালামাল সংরক্ষণ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় টিপু সুলতান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গরু-ছাগল বেঁধে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে। বিদ্যালয়টি অযত্নে পরিণত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দূর্গম এলাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দুই ইউপি সদস্যের এসব অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট পৃথক দুটি অভিযোগ করেন একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আবদুল হান্নান নামের এক ইউপি সদস্য।

অন্যদিকে, আবুল খায়ের জানান, চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন কামালসহ পরিষদের সকল ইউপি সদস্যদের সম্মতিতে পুলিশ ক্যাম্প ঘরটি ভেঙে অন্য জায়গায় একটি ক্যাম্প ঘর স্থাপন করা হয়েছে। 

তবে ইউপি চেয়ারম্যান জানান,  নতুন আরেকটি ক্যাম্পের বরাদ্ধ পেয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পুরাতন ক্যাম্পের কোন মালামাল ওখানে লাগানো হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবদুল মতিন জানান, ইউএনও'র অনুমতি নিয়ে ঘর উত্তোলন করে দুটি ঘরে বসবাস করছেন। এছাড়া স্থানীয়রা গরু-ছাগল বাঁধার কারণে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেপি দেওয়ান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরু-ছাগলের বিচরন কোনভাবে কাম্য নয়, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্যালয়ে স্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যেগ গ্রহন করা হবে। সরকারি ঘর যার জমি নেই, ভুমিহীন তিনি পাবেন। এছাড়া একজনে একাধিক ঘর পাওয়ার সুযোগ নেই। এ ব্যপারে ইউএনওকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, রামগতির চরগাজীতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সের পক্ষ থেকে একটি পুলিশ ক্যাম্প ছিল। পরবর্তীতে প্রশাসনিক কারণে ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করে নেয়। স্থানীয় জনসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ স্থায়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য পুলিশ হেডকোর্য়াটারে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে। 

মোস্তাফিজুর রহমান টিপু/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর