বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় গণপিটুনিতে রাসেল শেখ ওরফে ডাকাত রাসেল (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সহযোগী রাজিব গুরুতর আহত হন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকায় মহিদ পাইকের বাড়ির সামনে গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে। পরে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাসেল শেখ ওই এলাকার আজিজ শেখের ছেলে। আহত রাজিব স্থানীয় সেলিম শেখের ছেলে। তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনে-দুপুরে মহিদ পাইকের কাছে চাঁদা দাবি করতে গেলে গ্রামবাসীর হাতে গণপিটুনির শিকার হন রাসেল ও তার সহযোগীরা।
জাহিদ পাইক জানান, তার ভাই মহিদ পাইকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল রাসেল। সপ্তাহখানেক আগে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গত ৫ জানুয়ারি মহিদকে আরও টাকা প্রস্তুত রাখার হুমকি দেয়। এরপর ৬ জানুয়ারি বিকেলে রাসেলসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহিদের বাড়িতে প্রবেশ করে চাঁদার টাকা দাবি করে। বাড়ির নারীরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী এসে তাদের ঘিরে ফেলে ও গণপিটুনি দেয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও রাসেল ও রাজিব গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসীর দাবি, রাসেল শেখ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে এলাকায় লুটপাট, হামলা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কে ছিলেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মনি শঙ্কর পাইক বলেন, রাসেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথা, পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় ক্ষত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন এবং তার সহযোগী রাজিব গুরুতর আহত হয়েছেন। রাসেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যা ও অন্যান্য অপরাধে ২২টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এমবি