-678081594d58f.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাজবাড়ীতে আয়োজিত ইত্যাদি অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ইত্যাদির আয়োজকরা জেলাজুড়ে প্রায় ২ হাজার মানুষের প্রবেশ পাসের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে প্রায় একলাখ দর্শকের সমাগম ঘটে। ফলে অতিরিক্ত মানুষের চাপে চেয়ারে বসা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়, যা ক্রমে ভাঙচুর ও মারামারিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আয়োজকরা বারবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে উপায় না পেয়ে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে স্থগিত ঘোষণা করেন। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠান আবারও শুরু হয় বলে জানিয়েছেন রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব।
এদিকে এমন পরিস্থিতির জন্যে ইত্যাদি কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন দর্শকরা।
অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া সানোয়ার হায়দার সবুজ বলেন, ‘আমি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে প্রবেশের পাস নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। তবু অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলাম না। এটা কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্যেই হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শনার্থী রাসেল বলেন, ‘অতিরিক্ত দর্শনার্থী উপস্থিতির ধারণা আগে থেকেই ছিল। তবুও কতৃপক্ষ যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।’
এম এ সামাদ নামে একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি আর কখনোই ইত্যাদি দেখতে যাব না ‘
আব্দুল্লাহ আল সুমন নামে এক দর্শনার্থী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘অতিরঞ্জিত কোনোকিছু ভালো না। একদল এখন বলবে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ ভালো না। আমি বলব, অনুষ্ঠানের দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা হয়তো দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে জানে না, অথবা এর যোগ্যতা তাদের ছিল না।’
অন্যদিকে ভাঙচুর ও মারামারির সম্পূর্ণ দায় উৎসুক জনতাকে দিয়ে অনুষ্ঠান স্থগিতের আগমুহূর্তে ইত্যাদির পরিচালক হানিফ সংকেত বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও আপনাদের শান্ত করতে পারলাম না। আপনাদের জন্যেই একটি সুন্দর আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটা আর সম্ভব হলো না।’
আবু সালেহ/এটিআর