ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ এবং তার গাড়িচালক আক্তার মিয়ার মরদেহ দাফনের ৫ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও ভুপতিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আল মামুন, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শহিদুল ইসলাম হিরণের শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসা ঘেরাও করে। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এতে হিরণ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও তার গাড়িচালক আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ ও ২০ নভেম্বর আদালতে অজ্ঞাত দুই’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার গ্রহণের জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রুমানা আফরোজ আদেশ দেন। এছাড়া হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

নিহত চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আকতার মিয়ার ভাই মুক্তার মিয়া বলেন, ‘গত ১৭ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২শ থেকে ৩শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার ভাই কোনো রাজনীতি করতো না। তার হত্যার বিচার আমরা চাই।’

নিহত চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও মামলার বাদী জিয়াউল আলম বিলু বলেন, ‘ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২শ থেকে ৩শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার সঠিক তদন্ত দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে লাশ দুইটি উত্তোলন করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।’

এম বুরহান উদ্দীন/এমআই