Logo

সারাদেশ

বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

Icon

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫

বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ছবি : প্রতিনিধি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নদী-খালে বালু উত্তোলন ও বিক্রি নিয়ে চলছে অবৈধ কার্যক্রম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের যথাযথ তদারকি না থাকায় বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। উপজেলার অন্তত ২০টি পয়েন্ট থেকে দিনরাত বালু লুট হচ্ছে, ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন এবং বন্যার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চাঁড়ালকাঁটা নদীর বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে চাঁদখানা, বাহাগিলি, পুটিমারী, ও নিতাই ইউনিয়নের অন্তত ২০টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন চলছে। এসব এলাকায় বালুখেকোরা শত শত মাহিন্দ্র ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক ব্যবহার করে নদীর বালু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং নদীভাঙন আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সারা দেশে নদী-খাল খনন করা হয়। খননকৃত নদীর বালু নিলামে বিক্রি করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তবে রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বালুখেকোদের সহযোগিতা করে পানির দামে বালু বিক্রি করেন। নিলামে এই বালু বিক্রি করে রাতারাতি তারা বড়লোক হয়ে যান।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই ধরনের বালু উত্তোলনের ফলে তাদের কৃষি জমি ও গ্রামীণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত বছর, নীলফামারী সদরের রোকনুজ্জামান নামে একজন ৮ নম্বর লট নিলামে নিয়ে ছোট গাড়ির মাধ্যমে বালু উত্তোলন করলেও বর্তমানে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আরও জানান, বাহাগিলি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা জুগল চন্দ্র গোপনে নদীর চরসহ ওই স্তুপকৃত বালু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দফায় দফায় জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দপুর পাউবোর উপ-division প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান জানান, তিনটি বালুর লটের মেয়াদ সম্প্রসারণ করা হয়েছে, কিন্তু বাকি লটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বিষয়ে তাদের কোন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই, তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক জানান, ‘নিলামকৃত তিনটি বালুর লটের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাকি লটগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে বালু চুরি রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

আবু হাসান শেখ/এটিআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর