Logo

সারাদেশ

আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ প্রায় ৬ মাস পর উত্তোলন

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৬

আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ প্রায় ৬ মাস পর উত্তোলন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজন হোসেনের লাশ পাঁচ মাস ২৩ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাফায়াত আক্তার নুর।

নিহত সুজন হোসেন স্থানীয় সহিদুল ইসলাম ও রিজিয়া বেগম দম্পত্তির একমাত্র ছেলে। 

জানা গেছে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুজন হোসেন পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ঢাকা আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর নতুন করে স্বাধীনতা পাওয়ার উল্লাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আশুলিয়ায় ওই মিছিলে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সুজন। 

সহযোদ্ধারা তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিনি শহিদ হন। পরদিন সুজন হোসেনের মৃত দেহ গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে তার নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সুজনের বাবা বাদী হয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনসহ ১২৮ জনকে আসামি করে ঢাকা আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

সেই মামলা তদন্তের জন্য আদালতের আদেশে সুজনের লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুজনের শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচজনের অভাবী সংসারের হাল ধরেছিল একমাত্র ছেলে। পুলিশের গুলিতে সেই ছেলে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর পুরোপুরি থেমে গেছে সংসারের চাকা। আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর আমাদের সংসারের চাকা থেমে গেছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। সমাজের সজ্জন ব্যক্তি ও সরকারের সহায়তার বিশেষ প্রয়োজন।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ বিজ্ঞ আদালতের আদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাহেবুল ইসলাম টিটুল/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর