
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বরগুনার এক কুরআনের হাফেজাকে বিয়ে করেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আসরের নামাযের পর গাজীপুরের রাজেন্দ্র রিসোর্টে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পরেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সারজিসসহ একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন লিখেন নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক। সে ছবিতে বর বেশে সারজিসকে সাদা শেরওয়ানি ও পাগড়ি পরা দেখা যায়। সাথে থাকতে দেখা যায় নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদকে।
জানা গেছে, সারজিসের শ্বশুরের নাম অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। বাড়ি বরগুনার জেলার সদর উপজেলার ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় বসবাস করেন।
সারজিসের স্ত্রীর নাম রাইতা। তিনি একজন পবিত্র কোরআনের হাফেজ। একবোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে হাফেজা শারমিন আক্তার রাইতা সবার বড়। সব সময় তিনি পর্দা মেনে চলেন রাইতা। এ কারণে মিডিয়ায় তার ছবি আসেনি বলে জানা গেছে।
সারজিস আলম ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এ এলাকার আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগমের ছেলে সারজিস। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিসই বড়। ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকিব।
সারজিস ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। এ সময়েই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিতার্কিক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গত বছর কোটা আন্দোলন থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা হয়ে উঠেন সারজিস আলম। বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
- এসকে দোয়েল/ওএফ