টুঙ্গিপাড়ায় অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৫
-67a5d17bd8f67.jpg)
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সিকদার মো. জিননুরাইনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে কলেজটির প্রাঙ্গণে হাতে হাত ধরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানায় মানববন্ধনকারীরা।
পরে ওই ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া বাজারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ড. কাওছার তালুকদার ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ইমদাদুল হকের ভাতিজা মফিজুল হক মিন্টু।
দাতা সদস্য ড. কাওছার তালুকদার বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ সিকদার মোহাম্মদ জিননুরাইন ভুয়া তথ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে কলেজে অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে। এমনকি তার হাত ধরে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে জাল সার্টিফিকেট প্রদান করে।
পরে বিষয়টি ধরা পরলে শিক্ষা মন্ত্রাণালয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য চিঠি দিলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষার মান নিচে নেমে যাওয়ায় অভিভাবকরা এ কলেজ সন্তানদের ভর্তি করতে চায় না। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ সিকদার জিননুরাইনকে অপসারণ করা হলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মফিজুল হক মিন্টু বলেন, অধ্যক্ষ জিননুরাইন নানা রঙের রাজনীতি করেন। আগে ছিলেন ঘোর আওয়ামী লীগের আর এখন পুরো বিএনপি। আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর ওপর বইও লিখেছিলেন। মূলত সে সুবিধাবাদী লোক যখন যেখানে সুবিধা পায় সেভাবেই কাজ করে। আর ভুয়া সনদ বানিয়ে অযোগ্য শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে আর্থিক বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগ দেন তিনি। আর টাকা ফেরত চাইলেই হুমকি দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেন। এছাড়া আর্থিক অবস্থা ভালো এমন শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের অকৃতকার্য করিয়ে দেন। পরে সরকার নির্ধারিত টাকার পরিবর্তে কয়েকগুণ বেশি টাকা নিয়ে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেন। তাই তার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের মুখে। এ অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণ করে বিচারের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের দাতা সদস্য মোহাম্মদ ইবাদত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক কোষাধক্ষ্য নুরুল আমিন, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ ইব্রাহিম তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মোমরেজ ফকির, নাজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শোভন তালুকদার, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পলাশ সিকদার/এমবি