Logo

সারাদেশ

মুড়িকাটা পেঁয়াজে দরপতন, লোকসানের মুখে কৃষক

Icon

দিপংকর মণ্ডল

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪

মুড়িকাটা পেঁয়াজে দরপতন, লোকসানের মুখে কৃষক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। তবে চলতি মৌসুমে উৎপাদন ব্যয় বেশি ও বাজার দর কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা।  

চাষিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ চাষে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। রোপণের জন্য গুটি পেঁয়াজ কিনতেই লেগেছে ১৪ থেকে ২০ হাজার টাকা মণ দরে। কিন্তু এখন সেই উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২০০ টাকা মণে। এছাড়া ঘন কুয়াশা, অনাবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলনও তুলনামূলক কম হয়েছে।  

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের হাট ঝিটকা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি করছেন ১১৬০ থেকে ১৩০০ টাকা মণে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই দাম ছিল ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা। 

পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা বিজয়নগর গ্রামের কৃষক সুবির মণ্ডল বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের দাম অনেক কম। আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। ফলন ভালো হলেও কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিঘাপ্রতি প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই দামে বিক্রি করে কোনো রকমে খরচ উঠে আসবে, কিন্তু লাভ হবে না।’  

আরেক কৃষক সুবোধ সরকার জানান, ‘আড়াই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে এখন লোকসানের মুখে পড়েছি। গুটি পেঁয়াজ ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি, সার-কীটনাশকসহ সব খরচ মিলিয়ে বিঘাপ্রতি প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ১২০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ তো হচ্ছেই না, বরং খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।’  

ঝিটকা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জবেদ আলী জানান, ‘গত কয়েকদিনে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। কিছুদিন আগেও ১৭০০-১৮০০ টাকা মণে যে পেঁয়াজ কিনেছিলাম, তা এখন ১২০০-১৩০০ টাকা মণে নেমে এসেছে।’ ‘বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে’—যোগ করেন তিনি।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান জানান, ‘গত বছর পেঁয়াজের ভালো দামের কারণে এবার কৃষকরা ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। তবে রমজানের আগে দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর