Logo

সারাদেশ

শবে বরাতের রাতে পিঠা বানানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১১

Icon

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২

শবে বরাতের রাতে পিঠা বানানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১১

ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা বানানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়।  প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে পাঠানো হয়।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে ৪ জন শিশু রয়েছে।

আশুলিয়া সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জন রোগী আসছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, দগ্ধের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দগ্ধরা হলেন- মোছা. সূর্য্য বানু (৫৫), মোছা. জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (০৭), সোয়ায়েদ (০৪) ও মোছা. সুরাহা (০৩)। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দুই তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় সুমন নামের এক ভাড়াটিয়া তার দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন। সুমনের বাসায় তার ভাই সোহেলের পরিবার বেড়াতে আসেন। শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা বানানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে। এতে তাদের পরিবারের নারী ও শিশুসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়। 

দগ্ধে সোহেল রানা বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে আজ আমার ভাই সুমনের বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। নিমিষেই ঘরে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আমাদের পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার হারুন অর রশিদ বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের হাসপাতালে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ রোগী আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

হাসান ভুঁইয়া/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর