নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনে ও রাতে অভিযান চালিয়ে রায়পুরা ও ভৈরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকার আজগর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়া (৩৬), একই থানার দড়িচন্ডিবের এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে মো. সজিব (৩৮) ও মো. খোরশেদ আলমের ছেলে কাওসার মিয়া (৪২)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নামাপাড়া এলাকায় পৃথক দিনে দুটি ডাকাতির ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জড়িতদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। থানায় ডাকাতির মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রায়পুরা ও ভৈরব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২টি চাপাতি, ২টি মোবাইল ফোন, ২টি টর্চ লাইট, ১টি চাকু ও নগদ ৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মোর্শেদ মিয়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মাহমুদাবাদ সেতু সংলগ্ন নামাপাড়া এলাকায় ১টি প্রাইভেটকার সড়কের উপর আড়াআড়িভাবে রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ডাকাত দলের ১০/১২ জন সদস্য। পরে ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও হকিস্টিক দিয়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙ্গে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে লুট করে পালিয়ে যায়।

এছাড়া, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর পৌনে ৫টার দিকে মহাসড়কের একই এলাকায় অজ্ঞাতনামা ৩ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ২টি মোবাইল ফোন ও ৪ হাজার ৬ শত টাকা নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় পৃথক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

সুমন রায়/এমআই