Logo

অর্থনীতি

ইসলামী ব্যাংকের এমডি মুনিরুলের অপরাধের ষোলকলা

আনোয়ার হোসাইন সোহেল

আনোয়ার হোসাইন সোহেল

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৮

ইসলামী ব্যাংকের এমডি মুনিরুলের অপরাধের ষোলকলা

এস আলম গ্রুপের হয়ে লুটপাটের কারিগর ইসলামী ব্যাংকের (আইবিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুনিরুল মওলাকে অবশেষে তিন মাসের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আইনলঙ্ঘন করে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কিনে তা বেনামি প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের কাজে ব্যবহারের বন্দোবস্ত করে দিতেন তিনি। একের পর এক বেনামি ঋণ, ব্যাংকের শাখাগুলো থেকে ঋণ প্রাপ্তিতে সীমালঙ্ঘন করে এস আলমকে সুযোগ দেয়াসহ বহু অপকর্মের হোতা ছিলেন এই মুনিরুল মওলা। 

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পদত্যাগে বাধ্য হন এস আলমের মালিকানায় থাকা ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিরা। তবে অজ্ঞাত কারণে দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হলেও এমডি হিসেবে থেকে যান মুনিরুল মওলা। এখানেই শেষ নয়, গ্রাহকের আমানত লুটপাটের সহযোগী ইসলামী ব্যাংকের এই এমডিকে নিয়ে বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ব্যাংকটির শাখাও উদ্বোধন করছেন। এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত অন্যান্য ব্যাংকে আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অডিট করা হলেও লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া ইসলামী ব্যাংকে কোনো অডিট হচ্ছে না। এক সময়ের দেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাংকটি চরম সমালোচিত এমডিকে পদে রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারদেনা করে চলছে। যদিও ব্যাংক তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

 কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুনিরুল মওলা ও সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মিফতাহ উদ্দিনসহ ব্যাংকটির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ডলার ক্রয় করে ওই অর্থ দেশের ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া বেনামি ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতেন। জানা গেছে, এস আলম ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে হুন্ডির রমরমা ব্যবসা করেছে। ওই চক্রের একটি দল প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা কিনে নিত। আর বাংলাদেশে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীর পরিবারকে টাকা পরিশোধ করত। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ ও চলতি হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়ে ওইসব টাকা দিতো এস আলম।

পর্যবেক্ষণ বলছে, আইনলঙ্ঘন করে এস আলম গ্রুপকে এ অপকর্মের সুযোগ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা। সেখানে গ্রাহক হিসেবে দেখানো হয়েছে- ফেমাস ট্রেডিং করপোরেশন, রেইনবো করপোরেশন, আনসার এন্টারপ্রাইজ, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন ও সোনালী ট্রেডার্সকে। তবে, ওই  লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার প্রকৃতির সঙ্গে কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ ছিল না। প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি হিসাবে আসা অর্থ তুলে নেওয়া ও উত্তোলনকারীদের আচরণ ছিল সন্দেহজনক। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে (জানুয়ারি-আগস্ট) আট মাসে উত্তোলন করা হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়। আর ২৫৪ কোটি টাকা আন্তঃব্যাংক ক্রেডিট অ্যাডভাইসের (আইবিসিএ) মাধ্যমে অন্যান্য শাখায় স্থানান্তর ও রূপান্তর করে নগদে তুলে নেয়া হয়। ২৫০ কোটি টাকা ব্যবহার হয় দায়দেনা পরিশোধে। এ ছাড়া ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে তুলে নেওয়া হয় ৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। এমনকি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মীর নামেও তুলে নেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা।

পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন বলছে, পাঁচ গ্রাহকের চলতি হিসাবে টাকা জমা হতো ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে। ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংকের ১১টি শাখা বা উপশাখা থেকে ইস্যু করা ৮৩টি আইবিসিএর মাধ্যমে খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে মোট ৩৩৪ কোটি টাকা নগদে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের (পাঁচ প্রতিষ্ঠান) চলতি হিসাবে শাখা-উপশাখা থেকে টাকা জমা করে আইবিসিএ ইস্যু করা হয়েছে।

শাখার সরবরাহকৃত তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসব আইবিসিএর মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট ও মানি চেঞ্জার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এস আলম গ্রুপ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। তারা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে অর্থ পাঠিয়ে তা নগদায়ন করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী বা গৃহিণীর হিসাবেও টাকা পাঠিয়ে নগদায়ন করা হয়েছে। 

তথ্য বলছে, কখনো দিনের শুরুতে তোলা অর্থ দিন শেষে সংশ্লিষ্ট হিসাবগুলোর স্থিতি দ্বারা সমন্বয় করা না গেলে বাকি অর্থ সংশ্লিষ্ট শাখার সাসপেন্স হিসাব (অস্থায়ী বা অশ্রেণিবদ্ধ তহবিল থাকে এমন হিসাব) থেকে নিয়ে সমন্বয় করা হতো। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৩টি এন্ট্রির মাধ্যমে খাতুনগঞ্জ শাখার সাসপেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা নগদ তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন সময় সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ শাখার সাসপেন্স অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা সমন্বয়হীন ছিল। এসব কর্মকাণ্ডের সময় শাখা প্রধান ছিলেন মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মুহাম্মদ সিরাজুল কবির।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মাওলা এবং তৎকালীন ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিনের নির্দেশে শাখার সাসপেন্স হিসাব থেকে নগদ নিতেন এবং দিতেন। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার এস এম জামাল উদ্দীন রাসেলের (বর্তমানে মানিকগঞ্জ শাখায় কর্মরত) নামে খাতুনগঞ্জ শাখার পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো ৩০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ইসলামী ব্যাংকের লোকাল ও গুলশান সার্কেল-১ শাখা থেকে তুলে নেন। আর ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ক্যাশ অফিসার মোহাম্মদ আলী ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো ৭৩ কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংকের লোকাল অফিস ও পল্টন শাখা থেকে তুলে নেন। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা নর্থ জোন অফিসের এফএভিপি তাহেরুল আমিন পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো ২৩ কোটি টাকা লোকাল অফিস থেকে তুলে নেন।

এবিষয়ে তাহেরুল আমিন জানান, ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন ডিএমডি আকিজ উদ্দিনের নির্দেশে তিনি এসব অর্থ তুলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার এস এম জামাল উদ্দীনকে (রাসেল) দিয়েছেন। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ট্রেনিং একাডেমিতে কর্মরত মেসেঞ্জার কাম গার্ড ওসমান গনি ইসলামী ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে পাঁচ কোটি টাকা নগদে তুলে নেন। 

এ বিষয়ে ওসমান গনি বলেন, ‘তৎকালীন ডিএমডি আকিজ উদ্দিনের নির্দেশে তিনি টাকাগুলো উঠিয়ে ফের আকিজ উদ্দিনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।’

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ফেমাস ট্রেডিং এবং রেইনবো করপোরেশনের হিসাবে জমা হওয়া টাকার মধ্য থেকে ১০ কোটি টাকা ঢাকার গুলশান সার্কেল-১ শাখা থেকে ৪ চার ব্যক্তি তুলে নেন। এদের মধ্যে দুজন গৃহিণী। তারা হলেন শামীমা আকতার রিমি ও আয়েশা আকতার। আর মিজানুর রহমান এবং সৈয়দ মারুফ উর রহমান পেশায় ছাত্র। তারা সবাই আড়াই কোটি টাকা করে তুলে নিয়েছেন। তৎকালীন গুলশান সার্কেল-১ শাখার ব্যবস্থাপক এএসএম নাসির উদ্দিন ফাহিমের নির্দেশে শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শুধুমাত্র এনআইডির তথ্যের ভিত্তিতে শাখায় জুনিয়র অফিসার বোরহান উদ্দিনের মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে ২০টি এমটিডিআর হিসাব খোলেন।

এক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মাওলা শাখার জিবি ইনচার্জ এবং শাখা ব্যবস্থাপককে টেলিফোন হিসাব খোলা ও নগদায়ন করা, হিসাব গ্রহীতার প্রতিনিধির কাছে পে-অর্ডার প্রদান করার নির্দেশ দেন। এসব টাকা তোলার সময়ও হিসাব গ্রহীতা সশরীরে শাখায় উপস্থিত ছিলেন না। শাখায় আবুল কালাম নামে একজন ব্যক্তির অথরাইজ লেটারের মাধ্যমে এসব টাকা তোলা হয়। শুধু তাই নয়, এনআইডি, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য দলিলাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসব গ্রাহক প্রত্যেকেই কক্সবাজার সদর এলাকার বাসিন্দা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার ওই পাঁচ গ্রাহকের প্রায় সবগুলো লেনদেন ছিলো সন্দেহজনক। এই প্রতিষ্ঠানের সব কার্যকলাপ অসংগতিপূর্ণ। ব্যাংকিং নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর অসংগতিপূর্ণ বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উত্তোলন, নামে-বেনামে আইবিসিএ ইস্যুর মাধ্যমে টাকা স্থানান্তর, ইস্যুকৃত আইবিসিএর টাকা দিয়ে বেনামে এমটিডিআর হিসাব খোলার সঙ্গে এসব কর্মকর্তা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এজন্য তৎকালীন ডিএমডি আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, গুলশান সার্কেল-১ শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক এএসএম নাসির উদ্দিনের (ফাহিম) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকরে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এসব অনিয়মের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের আলোচিত-সমালোচিত এই এমডি মুনিরুল মওলারও সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মুনিরুল মওলার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদ্রে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো জবাব দেননি।  

গত মার্চ মাসে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামে নামে একটি সংগঠন মুনিরুল মওলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে মুনিরুল মওলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস আলমের সঙ্গে মিলে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এছাড়াও তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমডির যোগসাজশে ১৩ হাজার লোককে চাকরি দিয়েছেন।  

ইতোপূর্বে দুদকে জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও ও এমডি মনিরুল মাওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১–এ বাদী হয়ে মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক ইয়াছিন আরাফাত। মামলার এজাহার মতপ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে এ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

মামলার আসামিরা হলেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, সাবেক পরিচালক মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, খুরশীদ উল আলম, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিচালক মো. কামরুল হাসান ও সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ।

এছাড়াও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও কে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, সাবেক ডিএমডি ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি ও এএমডি মো. আলতাফ হোসেন, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, আবু ছাঈদ মুহাম্মদ ইদ্রিস ও সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার আমান উল্লাহ, চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমানের এফএভিপি মোহাম্মদ আলী আজগর, চাক্তাই শাখার সাবেক বিনিয়োগ ইনচার্জ খাজা মোহাম্মদ খালেদ, চাক্তাই শাখার প্রধান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনজুর হাসান, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ও দক্ষিণের অপর জোনপ্রধান ও এসইভিপি মিয়া মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।

ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে আসামিরা হলেন- মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার চৌধুরী, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন ট্রেড লিংকের মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন চৌধুরী, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং করপোরেশনের মোরশেদুল আলম, মেসার্স ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, রেইনবো করপোরেশনের রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, আনছার এন্টারপ্রাইজের আনছারুল আলম চৌধুরী, সোনালী ট্রেডার্সের সহিদুল আলম, ফেমাস ট্রেডিং করপোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সের এম এ মোনায়েম, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউসের এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. গিয়াস উদ্দিন, এক্সক্লুসিভ বিজনেস হাউসের ফেরদৌস আহম্মদ বাপ্পি, এনেক্স বিজনেস কর্নারের আনোয়ারুল আজম, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউসের মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউসের মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং করপোরেশনের কাজী মেজবাহ উদ্দিন, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহা. নজরুল ইসলাম, এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের এমডি মো. রাশেদুল আলম ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সবুর, স্যোসাল ট্রেড সেন্টারের আলী জহুর ও শাহ আমানত ট্রেডার্সের মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী চৌধুরী।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর