মার্কিন শুল্ক ইস্যু
ট্রাম্পকে শুল্ক পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৫

বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশের খবরের হাতে এসেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশে আপনার বাণিজ্য এজেন্ডাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেব।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মার্কিন রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয় বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বহু বছরের চুক্তি সম্পাদন করেছে এবং আরও সহযোগিতার পথ অনুসন্ধান করছে। বিশেষভাবে মার্কিন কৃষিপণ্য যেমন তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানিতে জোর দেওয়া হয়েছে, যা মার্কিন কৃষকদের উপকারে আসবে বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ রপ্তানি পণ্যের উপর বিদ্যমান শুল্ক দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশেই বেশি। এই প্রেক্ষাপটে আমেরিকান কৃষিপণ্য ও স্ক্র্যাপ ধাতুর উপর শূন্য শুল্ক প্রদান এবং গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর ও চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর শুল্ক ৫০ শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, অশুল্ক বাধা দূর করতে বাংলাদেশ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেমন, পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা কমানো, প্যাকেজিং ও লেবেলিং প্রক্রিয়া সহজিকরণ এবং শুল্ক প্রক্রিয়া ও মান সরলীকরণ।
বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালুর পথ প্রশস্ত হওয়ায় নতুন প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা বেসামরিক বিমান চলাচল থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
সবশেষে, বার্তায় বলা হয়, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সময় দিন। তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির উপর পারস্পরিক শুল্ক পরিমাপের আবেদনটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করুন।’
এই উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।