-67bfe3f134307.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হওয়ার কথা। যদিও ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব ইউরোপের।
ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপের নিরাপত্তার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র আর নিতে পারবে না। ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরল খনিজ সম্পদ দিলেও যুক্তরাষ্ট্র তাকে নিরাপত্তা দেবে না।
উল্লেখ্য, দ্রুত খনিজ সম্পদ দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে চুক্তি সই হবে ইউক্রেনের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চলতি সপ্তাহের গোড়ায় বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা দিলে তবেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি করবে। তার উত্তরেই ট্রাম্প একথা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে ইউরোপকে।
খনিজ সম্পদ নিয়ে আলোচনা
ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুক্রবার জেলেনস্কি ওয়াশিংটন যাবেন। ওই দিনই ইউক্রেনের সঙ্গে বিরল খনিজ সম্পদ এবং মিনারেল নিয়ে একটি চুক্তি হবে দুই দেশের। এর ফলে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ সম্পদ এবং মিনারেল দেবে।
একথা বলার সময়েই ট্রাম্প মনে করিয়ে দেন, এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দেবে, এমনটা মনে করার কারণ নেই। ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ইউরোপের।
ইউক্রেন অবশ্য এখনো আশা হারায়নি। দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমানে ইউক্রেনের অর্থনীতি স্কুলের প্রধান টিমোফাই মিলোভানভ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা এখনো চলছে। ডিডাব্লিউ-কে তিনি জানিয়েছেন, 'গত দুই সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক নাটক দেখতে পাচ্ছি আমরা। বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রশাসন নানা কথা বলেছে। তবে এখনো আলোচনা চলছে।'
মিলোভানভের বক্তব্য, ট্রাম্পের প্রশাসন একেক জায়গায় একেক রকম বার্তা দিচ্ছে। নিজের দেশের মানুষের কাছে তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আর নিরাপত্তা দেবে না। অর্থাৎ, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আর অর্থ দেবে না। কিন্তু বাস্তবে যে চুক্তির আলোচনা হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, খনিজের বদলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে।
শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্প বলেছেন, খনিজ দিয়ে ইউক্রেন এখনো পর্যন্ত তাদের দেওয়া ৫০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চোকাবে। কিন্তু চুক্তিতে এমন কথাও বলা হয়নি। মিলোভানভের আশা, শেষপর্যন্ত আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। দুই পক্ষই কোনো একটি জায়গায় পৌঁছাবে। এই পরিস্থতিতে জেলেনস্কির ওয়াশিংটন যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যের মধ্যস্থতা
এদিকে এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। সোমবার ইটালি, জার্মানি, পোল্যান্ডসহ আরও বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। ইউক্রেনেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে স্টারমারের ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
বিএইচ