গাজা যুদ্ধ থামাতে ১৫ শতাধিক ইসরায়েলি সেনার চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৬

গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ ও বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের সাবেক ও সেনা সেনা সদস্যদের মধ্যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০০-র বেশি প্যারাট্রুপার ও ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সেনারা একটি খোলা চিঠিতে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, আমরা প্যারাট্রুপার ও ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সাবেক সৈনিক ও কমান্ডাররা, যাদের পতাকায় লেখা ‘কোনো সৈনিককে ফেলে যাওয়া হবে না’ — সেই চেতনায় বলছি, বন্দিদের ফেরত আনার জন্য হলেও যুদ্ধ থামান। এটি জীবনের ডাক।
এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘তালপিয়ট অ্যাকাডেমি’র ১৭০ সাবেক শিক্ষার্থীও এক চিঠিতে যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দি বিনিময়ের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, এই যুদ্ধ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, নিরাপত্তার জন্য নয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এই যুদ্ধ তার ঘোষিত কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছাতে পারেনি। বরং এটি শুধু আরও বন্দি, সেনা কিংবা নিরীহ মানুষের মৃত্যুর কারণ হবে।
এই চিঠিগুলো মূলত বৃহৎ জনমতের প্রতিফলন, যারা যুদ্ধ থামিয়ে মানবিক পথে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন।
আনাদোলুর তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০টি খোলা চিঠি এসেছে সেনাদের পক্ষ থেকে। যেখানে গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, এসব চিঠির জেরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন—যেসব কর্মরত সেনারা এ ধরনের চিঠিতে সই করছেন, তাদের বরখাস্ত করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজারে পৌঁছে গেছে।
গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ওএফ