সুদানের আল-জাজিরা রাজ্যের মূল রাজধানীর পতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরডিএফ)-এর কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান ড্যাগলো।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্যাগলো তার যোদ্ধা ও সুদানী জনগণের উদ্দেশ্যে এক অডিও ভাষণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা কেন্দ্রীয় সুদানী নগরীর পুরোটাই পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দেন। 

সেই বছরের এপ্রিল থেকে আরএসএফের সাথে যুদ্ধরত সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা শনিবার নগরীতে প্রবেশ করে অবশিষ্ট বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করছে। 

সেনাবাহিনীর প্রতি অনুগত সরকারি কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ এই নগরীটির পুনরুদ্ধারকে স্বাগত জানিয়েছেন। নগরীটি বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সংযুক্তকারী সরবরাহ মহাসড়কের একটি কৌশলগত সংযোগস্থল। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী খার্তুমের সবচেয়ে কাছের প্রধান নগরী যা মাত্র ২০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। 

ড্যাগলো বলেন, ‘আজ আমরা একটি রাউন্ডে হেরেছি, তবে আমরা যুদ্ধে হেরে যাইনি।’ 

দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল, সুদানিজ সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ দেশের ভেতরেই রয়ে গেছে। জাতিসংঘের মতে এটি বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতির সংকট। 

যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোতে প্রায় ৫ লাখ মানুষ আল-জাজিরায় আশ্রয় চায়। জাতিসংঘের মতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আরএসএফের এক আকস্মিক হামলায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

এসবি