Logo

আন্তর্জাতিক

ইয়াহিয়া সিনওয়ারের যুদ্ধের দৃশ্য ভাইরাল (ভিডিও)

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫২

ইয়াহিয়া সিনওয়ারের যুদ্ধের দৃশ্য ভাইরাল (ভিডিও)

গাজা যুদ্ধে শহীদ হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের যুদ্ধকালীন ফুটেজ প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আল-জাজিরা আরবি চ্যানেলে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘মা কাফি আজম’ অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ পর্বে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের এক্সক্লুসিভ দৃশ্য দেখানো হয়, যা আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আল-কাসাম ব্রিগেড পরিচালিত ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেখানো হয়। ওই পর্বে আল-কাসাম ব্রিগেড কর্তৃক ইসরায়েলে অভিযানে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু সবই দেখানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে দেখানো বিরল ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দৃশ্য হলো আল-কাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ। যাকে পুরো ভিডিও জুড়ে দেখানো হয়েছে। আক্রমণের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার সময় একটি সামরিক অপারেশন রুমের ভেতরে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

ভিডিওতে তার চেহারা ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছিল যে মোহাম্মদ দেইফ বেঁচে নেই। কিন্তু ভিডিওতে তার মুখ ঢেকে রাখা দেখে অনেকের মন্তব্য, দেইফ এখনো জীবিত।


প্রকাশিত ফুটেজে দেইফকে বলতে শোনা যায়, ‘ইতিহাসের গতিপথ আমাদেরকেই পরিবর্তন করতে হবে। এই মুহূর্তে আমরাই নেতৃত্ব দিতে পারি। আল্লাহর ইচ্ছায় যেন বড় সুযোগ অর্জন করতে পারি যাতে আমাদের পতাকা সবচেয়ে উঁচুতে থাকে।’

ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মাত্র দুই দিন আগে ৫ অক্টোবর একটি গোপন সামরিক আদেশে মোহাম্মদ দেইফ স্বাক্ষর করেছিলেন। যেখানে ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই নথিতে ইসরায়েলের ইফতাহ, নাহাল ওজ ও কিসুফিম নামক স্থানগুলোকে সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একক কিছু ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। তিনি যুদ্ধের সময় গাজায় অবস্থান করে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিরোধের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সিনওয়ারকে রাফাহ ও অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।

ভিডিওতে গাজায় যুদ্ধরত আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধাদের সমন্বয় ও মনোবল বাড়েতে সিনওয়ারের ভূমিকা দেখানো হয়েছে। রাফাতে আল-কাসাম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার মাহমুদ হামদানের সাথে পরিকল্পনার সময় সিনওয়ারের বসে থাকার একটি দৃশ্য দেখা গেছে। তিনিও গাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

ভিডিও প্রতিবেদনে রাফাহর থেল সুলতান এলাকায় সিনওয়ারকে একটি ইসরায়েলি সামরিক যান পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়। ফুটেজে ইসরায়েলি অফিসারদের নজরদারিও দেখানো হয়েছে। যার মধ্যে গাজার দক্ষিণ ব্রিগেডের কমান্ডার আসাফ হামামিকে আটকের দৃশ্যও আছে। ব্যাপক নজরদারি অপারেশনের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

প্রতিবেদনে আল-কাসাম ব্রিগেডের জেনারেল মিলিটারি কাউন্সিলের সদস্য ও গাজা ব্রিগেডের কমান্ডার আজেদ্দিন আল-হাদ্দাদের একটি বিরল সাক্ষাৎকারও দেখায়। আল-হাদ্দাদ জানান, সামরিক নেতৃত্ব ১ অক্টোবর থেকে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখেছিল যাতে অপারেশনের সময় নির্ধারণ ও কার্যকরের জন্য সবকিছু ঠিকঠাক থাকে।

তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, মার্কিন ও পশ্চিমাদের দ্বারা সমর্থিত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের আগ্রাসন শেষ পর্যন্ত বন্ধ করতে হবে। গাজা থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের জন্য তাদের দাবি মেনে চলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।

যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফুটেজ ওই প্রতিবেদনে সম্প্রচার করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে- যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঠিক আগে উত্তর গাজার বেইত হানুনে এক অতর্কিত হামলায় একটি ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়।

আল-কাসসাম ব্রিগেড কর্তৃক প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর ট্যাঙ্কটি উল্টে যাচ্ছে। এর মূল অংশ থেকে কামান রাখার অংশ আলাদা হয়ে গেছে। এ সময় ধ্বংস হওয়া ট্যাংকের ভেতরে আটকে পড়া সৈন্যদের উদ্ধারের চেষ্টাও দেখানো হয়েছে। ওই হামলায় ট্যাংকের কমান্ডার ও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর