২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫২
-67d52d9283096.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে শনিবার সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। তবে অসুস্থ শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সব শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে এবার ১৫ মার্চ সারাদেশে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪.১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা সবটুকু তরল শিশুকে খাওয়াবেন। শিশুদের কান্নার সময় অথবা তাদের জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
ডিআর/এমবি