ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:১৯

ঢাকার দোহার থানাধীন এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি জিয়াউর রহমানের (৩৫) মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আদায়ের জন্য আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই টাকা ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের এক কিশোরী বাড়ির পাশের সবজি ক্ষেত থেকে সবজি আনতে যায়। ফেরার পথে আসামি জিয়াউর রহমান তাকে পার্শ্ববর্তী ধইঞ্চা ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে কিশোরীর গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর বাবা দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১২ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। মামলার শুনানির সময় আদালত ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
- ডিআর/এমজে