ভুল তথ্য মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন : রিজওয়ানা হাসান

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১৯:৩৬
অ

ছবি : বাংলাদেশের খবর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি শুধু তথ্য বিকৃতই করে না, বরং এটি সামাজিক সংহতি ও উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে। এই সমস্যা মোকাবিলায় মিডিয়া, সরকার ও সুশীল সমাজের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে পিআইবি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির যুগে মিডিয়া : চ্যালেঞ্জ, দায়িত্ব ও উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের উদ্যোগে পিআইবি ও অক্সফাম বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, দেশের অনেক গণমাধ্যমের মালিক নিজের ব্যবসা টেকাতে গণমাধ্যম গড়ে তুলেছেন। তাদের একটি অসৎ উদ্দেশ্য শুরু থেকে ছিল। ফলে বুঝতে হবে কাদের কাছে প্রকৃত সত্য মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। তারা অনেককে টার্গেট করে। ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কনফিউশন তৈরি করে। বারবার বলতে বলতে মিথ্যাকে সত্য বানাতে চায়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে ভুল তথ্য ছড়ানোর গতি ও মাত্রা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বিষয়টি মোকাবিলায় মিডিয়ার দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নতুন সরকারের সময়েও একটি পরাজিত মহল অনেক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচার বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
পিআইবি মহাপরিচালক আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে ভুল তথ্য বা বাড়িয়ে তথ্য দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এখন অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাচ্ছে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ আগে মিথ্যা উন্নয়নের তথ্য ছড়িয়েছে। এখন পতনের পর অপতথ্য ও ভুয়া তথ্য সুনামির মতো প্রচার হচ্ছে। মূলধারার অনেক মিডিয়া নানান ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে ভুল তথ্য প্রচার করে এখন তারা গুরুত্ব হারিয়েছে। ফলে এখন মূলধারার মিডিয়া ভাইরাল হওয়ার নেশায় যা-তা ছড়াচ্ছে।
এ সময় তিনি জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে, সেগুলোর তালিকা সোমবারের (২৪ মার্চ) মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আশু বাস্তবায়ন করা যাবে এমনসব সুপারিশের তালিকা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অঙ্গীকার করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর প্রমুখ।
জেসি/এটিআর