ট্রেনের টিকিটে কারসাজি, কমলাপুরে বাড়তি দামে বিক্রি
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৭

ছবি : বাংলাদেশের খবর
এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নানা পদক্ষেপের কথা জানালেও সড়ক, নৌ ও রেলপথে নৈরাজ্য চলছেই।
তবে রেলপথে যাতে যাত্রীদের কোনো রকম হয়রানির শিকার হতে না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয়সহ কমলাপুর রেলস্টেশনের সংশ্লিষ্টরা ঈদযাত্রার শুরু থেকেই তৎপরতা দেখালেও এখন খোদ টিকিট মাস্টাররাই জড়াচ্ছেন কালোবাজারিতে। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘুরে দেখা যায়, যেখানে টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে খোদ স্টেশনের টিকিট মাস্টারই কালোবাজারির সাথে জড়িত।
দেখা গেছে, স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহের জন্য যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন, সংকট দেখিয়ে তাদের কাছে তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট বিক্রি করছেন টিকিট মাস্টাররা।
বাংলাদেশের খবরের অনুসন্ধানে কমলাপু রেল স্টেশনের টিকিট মাস্টারদের এমন অবৈধ কারবার ধরা পড়ে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে। ওই সময় কমলাপুর স্টেশনের তিন নম্বর কাউন্টারে হঠাৎ হট্টগোল শুরু হয়। টিকিট প্রত্যাশী কয়েকজন যাত্রী কাউন্টারে উচ্চস্বরে কথা বলেন।

সরাসরি গিয়ে জানা যায়, কালোবাজারির সদস্যরা বাইরে লাইনে ঘুরে ঘুরে টিকিট বিক্রি করছেন। আর কাউন্টারের ভেতরে বসে টিকিট মাস্টার একেকটি টিকিটের মূল্য তার নির্ধারিত দামের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি দাম ধরে টিকিট ছাড়ছেন। এসময় তার কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কাউন্টার ছেড়ে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সিন্ডিকেট এখনো বন্ধ করতে পারেনি। স্টেশনে রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে বুধবার সকালে কমলাপুর স্টেশনে আসেন রেল উপদেষ্টা কবির হোসেন। তিনিও সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের রেলের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে যান। অথচ তার কয়েক ঘণ্টা পরই টিকিট নিয়ে কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েন ৩ নম্বর কাউন্টারের টিকিট মাস্টার মিল্লাত।
এ বিষয় জানতে ও টিকিট মাস্টারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে যান বাংলাদেশের খবরের এই প্রতিবেদক।
পরিচয় জেনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে নিজের কামরা ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও তিনি আর তার রুমে আসেননি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেসি/এমআই/ওএফ