পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাস্তব এবং ফলাফলমুখী সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বিশেষ করে বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিএ) কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ২০তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে। 

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিমসটেকের সাত সদস্য দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। 

এদিন সকালে, পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিমসটেক সামুদ্রিক পরিবহন সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বিমসটেকের দৃষ্টিভঙ্গির বিভক্তি কাটিয়ে সম্মিলিত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গার বিষয়ে কথা বলেন এবং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের অধিকার এবং নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য খসড়া অস্থায়ী এজেন্ডা এবং শীর্ষ সম্মেলন ঘোষণার খসড়া চূড়ান্ত করেন, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বিবেচনা করা হবে।

এছাড়া, বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামীতে ঢাকায় ২১তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হন।

২০তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক প্রতিবেদন গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল শুক্রবার ব্যাংককে সদস্যভূক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

ডিআর/এমএইচএস