ব্যবসায়ীকে হত্যার পর লাশ গুম, স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

বাললাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩১

টাকা-পয়সা লেনদেনের জেরে প্রায় ১০ বছর আগে কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল হাসানকে হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে সোহেল রানা ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার ওরফে সুমনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিচারক আরও বলেন, যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এ ছাড়া হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভিকটিম কামরুল হাসান সোহেল রানার কাছে আড়াই লাখ টাকা পেতেন। সেই টাকা যাতে ফেরত না দিতে হয়, এ জন্য পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর কামরুল হাসান নিখোঁজ হলে তার খালা অ্যাডভোকেট রেহেনা পারভীন ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পল্টন থানাকে। পরে তদন্তের ভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক হারুনর রশীদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে উঠে আসে, কামরুল হাসানকে খুন করে লাশ খণ্ড-বিখণ্ড করে বস্তায় ভরে একটি বিলে ফেলে দেয় সোহেল রানা ও রুমা আক্তার।
২০১৮ সালের ৫ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, দণ্ডিত সোহেল রানা ২০২৩ সালে রাজধানীর উত্তরায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
জেএন/এমজে