Logo

জাতীয়

বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী সিঙ্গাপুর

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৫৪

বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী সিঙ্গাপুর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে সিঙ্গাপুর অত্যন্ত আগ্রহী।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে ঢাকা চেম্বারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো-এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি তাসকীন আহমেদ-এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ এবং সেদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। তিনি জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, বিশেষকরে আধুনিক ও দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, লজিস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে দক্ষতা উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতার আহ্বান জানান তাসকীন আহমেদ।

বাংলাদেশের পাট ও কৃষি খাতের আধুনিকায়নে সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তিগত সহায়তার উপর জোরারোপ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদন ও লজিস্টিক খাতে ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। তিনি বাংলাদেশের বন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। যার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

তিনি জানান, বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে সিঙ্গাপুর অত্যন্ত আগ্রহী।

তিনি বলেন, দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের সংস্কার ও অটোমেশনের উপর জোরারোপ করেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে তিনি শিল্পখাতে ইএসজি কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। 

হাইকমিশনার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত হওয়া ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মিশেল লি প্রমুখ।

এএইচএস/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর