বাঁওড় ভূমিজ জেলেদের সাথে আলোচনা করে মালিকানা নিষ্পত্তি করতে হবে

সুজন বিপ্লব
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৫

‘জাল যার, জলা তার’ নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে ‘ইজারা যার, জলমহাল তার’ এবং আরো নির্মম বাস্তবতা ‘টাকা যার, বাঁওড় ইজারা তার’। বাঁওড় ইজারা বাতিল করে জেলেদের প্রথাগত ও ন্যায়সংগত মালিকানার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির যৌক্তিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় রেখে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জেলেরা সংগঠিত হয়ে লড়ছে! তাদের লড়াইয়ের কথা কে না জানে? সরকারের সর্বোচ্চ কর্তাদের বরাবর স্মারকলিপি পেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির সংবাদ সর্বমহল বিদিত। সেই মেহনতি-শ্রমজীবী জেলেদের সাথে আলাপে বসতে রাষ্ট্রের অনীহা কীসের? দেশজুড়ে থাকা বাঁওড় জলাভূমিজ মৎস্যজীবী জেলে জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা সুরক্ষা ও ইনসাফ কায়েমে সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবিদাওয়া পেশ ও কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের বদৌলতে বিষয়টা সকলে অবগত হয়েছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আয়োজিত এক সমাবেশে বাঁওড় জনপদের সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব ও ভাষণদানকালে সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেছেন, "তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, দ্রুতই এর সমাধান হবে। রাজস্ব আদায়ের নামে হাওড়-বাঁওড় ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা। বিগত বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দুপুরে শৈলকূপা উপজেলায় হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদ আয়োজিত প্রান্তিক খামারি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইজারার বিষয়টি নিয়ে এখন আমরা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত কথা বলছি। আইনি বা জলমহালের নীতিগত কোনো কোনো বাঁধা রয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমরা প্রথম আলোচনা করেছি। এসবে কিছু সংশোধন আনতে পারি কিনা সেটা আমি দেখবো। এটুকু কথা আমি আপনাদের দিচ্ছি।" এ খামারি সমাবেশের আয়োজন করেছেন শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদ। উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তব্যের প্রত্তুরে বাঁওড় সম্পর্কিত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেইসব জেলেদের আন্দোলন-সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব, অংশগ্রহণ, মতামত, আলোচনা ও সম্মতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। বাঁওড় জেলেদের আন্দোলন-সংগঠনের উপস্থিতি ব্যতীত পদক্ষেপে অন্যায্যতা ও নতুন করে বঞ্চনার আশঙ্কায় ফের বিক্ষুব্ধ ও হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পৃথিবী গ্রহের মোট স্থলভাগের ছয় শতাংশ এলাকায় রয়েছে বাঁওড়; ইংরেজিতে বলা হয় Oxbow Lake/অক্সবো লেক। এতে বোঝাই যাচ্ছে এই গ্রহে বাঁওড়ের গুরুত্ব কেমন। বাঁওড় হাজারও মাছ-জীব-বৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল। সমগ্র দেশের ছোট-বড় মিলে রয়েছে অনেকগুলো বাঁওড়। প্রয়োজন সঠিক বাঁওড় শুমারি ও সুরক্ষিত পদক্ষেপ। আর বাংলাদেশের মোট আয়তনের পাঁচ হাজার চার শ’ আটাশি হেক্টর এলাকা বাঁওড়ের অন্তর্ভুক্ত। যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর বাঁওড় অঞ্চলভুক্ত বলা হলেও সাতক্ষীরা, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশজুড়ে প্রাকৃতিক জলভূমি বাঁওড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। দেশের বাঁওড় জনপদের অধিবাসী ও প্রান্তিক মৎস্যজীবী সম্প্রদায় প্রাচীন জনবসতি কাল থেকে বংশানুক্রমে বিভিন্ন বাঁওড় সংলগ্ন গ্রামগুলোতে বসবাস, বাঁওড়ে মাছধরা ও বিপণন হল পেশাগত পরিচয়। নদীর বাঁকে অবরুদ্ধ স্রোত ও নিম্নভূমিতে জমে থাকা পানিতে প্রাকৃতিকভাবে বাঁওড়ের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পরিত্যক্ত বাহু বা অশ্বক্ষুরাকৃতির হৃদ হিসেবে উইকিপিডিয়া ও বাংলাপিডিয়া বাঁওড় এর সংজ্ঞায়ন করেছে। নিদারুণ প্রান্তিক জলাভূমি হিসাবে বাঁওড় সবসময় উপেক্ষিত ও অনালোচিত।
প্রাচীন বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কৈবর্ত বিদ্রোহে ধীবর-জেলেদের বীরোচিত বিজয়, ব্রিটিশবিরোধী নীলবিদ্রোহে অপরাজেয় বাঁওড় ভূমিসন্তান ও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঁওড় আক্রান্তে শহীদ ও আত্মোৎসর্গ ঘটনাপ্রবাহের গৌরবময় ইতিহাস ধারণের পরেও স্বাধীন স্বদেশে একের পর এক বাঁওড় দখলে উচ্ছেদের শিকার বাঁওড় জনগোষ্ঠী। ইজারাপ্রথা চালু থেকে বঞ্চনার ফলে ভূমিহীন, বেকার ও নিঃস্ব হয়ে গেছে বাঁওড় জেলে নরনারীগণ। ইজারাপ্রথায় সাধারণ মৎস্যজীবীরা তো টিকতে পারছেনা। ইজারা মানেই টাকালগ্নীর ব্যাপার। বাঁওড়ের মালিকানা জেলেদের, বাঁওড় জেলেদের আজন্ম অধিকার, তাই এই জনগোষ্ঠীর জীবিকায়নকে নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এখানে জেলেদের মালিকানার স্বীকৃতি, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন করতে হবে। জেলে সম্প্রদায় ও রাষ্ট্র কর্তৃক উৎপাদনের অংশীদারত্বের চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদনের ন্যায্য বন্টননীতি থাকা চাই। আর এগুলোর সাথে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পেশিশক্তি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত নীতি গ্রহণ করতে হবে। সারাদেশে একই চিত্র, বাঁওড় এখন জেলেদের অনুকূলে নেই। বিভিন্ন সময় জেলেদের উপর অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জমি দখল, বাঁওড়ে অবৈধভাবে মালিকানা আরোপ করা হত। বিভিন্ন ইস্যুতে জেলেদের হুমকি ও বসতভিটা উচ্ছেদ, জীবিকায় বাঁধা প্রদানের স্থায়ী সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্রীয় তদারকিতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলেদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। বাঁওড়কে দখলদারিত্ব ও প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাবমুক্ত করতে হবে। দেশের সুবৃহৎ বাঁওড়গুলোর অন্যতম ঝিনাইদহের বলুহর, জয়দিয়া, কাঠগড়ায়, মর্জাদ, ফতেপুর যশোরের বেড়গোবিন্দদপুর উল্লেখযোগ্য বাঁওড় হিসাবে পরিচিত। অন্যান্য সকল বাঁওড়গুলোর মতো এই বাঁওড়গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জেলে পল্লিতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাসরত আর একইদশায় সারাদেশের বাঁওড় অঞ্চলে জেলে সম্প্রদায়ের হাজার-হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
১৯৮০ সালে ঝিনাইদহ জেলার পাঁচটি ও যশোর জেলার একটি বাঁওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প নামে মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর হয়। বাঁওড়গুলো ছিল ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ও জয়দিয়া, মহেশপুর উপজেলার কাঠগড়া ও ফতেপুর, কালীগঞ্জ উপজেলার মর্জাদ এবং যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর। এ প্রকল্পের আওতায় গড়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বলুহর রেনু উৎপাদনকারী কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারি। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রির পাশাপাশি হ্যাচারির রেনু সরকারি এসব বাঁওড়েও ছাড়া হত। প্রকল্পের অধীনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাছ চাষে ১ হাজার জেলে পরিবারের ৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত হয়ে জীবিকা চালিয়েছে। প্রতিবছর এসব বাঁওড় থেকে প্রায় ৫শ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হত। উৎপাদনের অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুযায়ী মৎস্য বিভাগের অর্থায়নে জেলেরা শ্রম দিত। বিনিময়ে উৎপাদিত মাছের ৪০ শতাংশের মালিকানা জেলেদের অধিকারে যেত, বাকি ৬০ শতাংশ মৎস্য অধিদপ্তর পেত। এই প্রকল্পের তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল যে এটি মাছের বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করেই মাছ চাষ করত। যার ফলে কৃত্রিমভাবে ছাড়া রেনু ছাড়াও বিপুল পরিমাণ দেশি জাতের প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদিত হত এবং এই প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের নিরঙ্কুশ মালিকানা থাকত অংশগ্রহণকারী জেলেদের। প্রকল্পের ত্রিশ বছর পূর্তির পর ২০২২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় বাঁওড়গুলোকে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারার ব্যবস্থা করেছে। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের এসব বাঁওড় ইজারা নেয়ার সামর্থ্য নেই। এ সুযোগে মৎস্যজীবীদের নামে ভুঁইফোড় সংগঠন তৈরি করে তার নামে প্রকৃতপক্ষে ইজারা নিয়ে আসছে স্থানীয় কায়েমি স্বার্থবাদী মহল। তাদের বাণিজ্যিক মৎস্য চাষের পরিকল্পনায় উচ্ছেদ হয়ে গেছেন প্রকৃত জেলেরা। বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের উপযোগী করতে বাঁওড়ের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাকৃতিক মাছ, কাঁকড়াসহ জলজ প্রাণিকুলকেও কেমিক্যাল প্রয়োগে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। ফলাফলে বাস্তুতন্ত্র ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলুহরসহ ৬ বাঁওড় জলমহাল নীতি লঙ্ঘন করে সাবলিজের অভিযোগও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। এদিকে উচ্ছেদ হওয়া অসহায় জেলেরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছে, আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে, সুবিধাভোগীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে; কিন্তু অধিকার পাইনি। এরপর কেউ দেশ ছেড়েছেন, বাকিরা পেশা বদলের চেষ্টা করছেন। জমিজমাহীন জেলেরা চাষের কাজেও অদক্ষ এবং নিরুপায় হওয়ায় অন্যের ক্ষেতে মজুর দিতে গেলেও উপযুক্ত মজুরি পান না। এভাবে বঞ্চনার বোঝা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বাঁওড় জেলেরা জীবনাচারের দিক থেকেও প্রান্তিক শ্রমিক। যাদের শ্রম সস্তায় মেলে, তবুও পেটের ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণ হয় না।
বাঁওড় জলমহালে ইজারাপ্রথা বিলোপ ও সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানা প্রতিষ্ঠায় ৪ দফা দাবিকে যৌক্তিক বিবেচনা করে স্থায়ী সমাধানে দেশব্যাপী বাঁওড় জরিপ ও শুমারি, সকল বাঁওড় জলমহালে ভুক্তভোগী ভূমিজ জেলে জনগোষ্ঠীর প্রথাগত ও ন্যায়সংগত মালিকানার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানার ৪ দফা দাবিনামা
১.বাঁওড় জলমহালসমূহের ইজারা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল করে জেলেদের ন্যায়সংগত মালিকানার স্বীকৃতি দিয়ে সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে। মৎস্যজীবীদের অনুকূলে ও জাতীয় স্বার্থে জলমহাল ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধন করতে হবে। জাতীয় বাঁওড় উন্নয়ন বোর্ড, স্বতন্ত্র বাঁওড় জলমহাল নীতিমালা ও বাঁওড় জেলেদের প্রান্তিক শ্রমিক হিসাবে নিজস্ব সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে।
২. বাঁওড় জলমহালে মাছ চাষে রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের অর্থায়নে ও জেলেদের সাথে ন্যায্য উৎপাদনের অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে হবে।
৩. বাঁওড় উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের শুমারি করে তালিকাবদ্ধ করে মৎস্যজীবী কার্ড প্রদান করতে হবে। জেলেদের রেশনের এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি না করে বাঁওড় জলাশয়ে মাছের প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। মাছের প্রাকৃতিক উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মহীন জেলেদের কর্মসংস্থানের জন্য মৎস্য অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে হবে।
আলোচ্য বিষয়ে সত্যিকার অর্থে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সারাদেশে কয়টি বাঁওড় আছে, তা তালিকায় নথিভুক্তিকরণ, বাঁওড় পাড়ের আদিবাসিন্দা জেলে সম্প্রদায়ের মাছ ধরার অধিকার সংরক্ষণ, বাঁওড়ের প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলে শনাক্তকরণ, বাঁওড় জেলে সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানার সদস্য অন্তর্ভুক্তকরণ, ইজারা বাতিল করে সামাজিক মালিকানায় পরিচালনে পৃথক বাঁওড় জলমহাল নীতিমালা প্রণয়ন ও স্বতন্ত্রভাবে জাতীয় বাঁওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। ‘একটি বাঁওড়, একটি সমবায় সমিতি’ গঠনের বিধিমালা নির্দিষ্টকরণ ও বাঁওড়কেন্দ্রীক একাধিক সমবায় সমিতি গঠন না করার বিধান চালু করতে হবে। এইসব পদক্ষেপের বাস্তবায়নে যথাযথ রাষ্ট্রীয় ভূমিকা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। সে মোতাবেক প্রচলিত ইজারা বাতিল করে বাঁওড় জলমহালে প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক মালিকানা ও স্বার্থ সংরক্ষণে জলমহাল নীতিমালা চাই।
সুজন বিপ্লব : বাঁওড় গবেষক ও সদস্য সচিব, বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি
- বাংলাদেশের খবরের মতামত বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkeditorial247@gmail.com
এমএইচএস