সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করবে
ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৯:২৩
-67d6d0c4313d6.jpg)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের পর নতুনভাবে সারাদেশে খুন-ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি চলছে মারাত্মকভাবে। চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির মোকাবেলায় ইসলামই একমাত্র সমাধান।
রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে মুরাদনগর নুরজাহান হাইস্কুল মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা উত্তর জেলার মুরাদনগর উপজেলা শাখা আয়োজিত ‘কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মাহে রমজানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, খুন-ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি বন্ধে ইসলামি আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান। সৌদি ও আফগানিস্তানে ধর্ষণ বন্ধে ইসলামি আইনের অনুসরণ করায় তা প্রায় জিরোর কোঠায়। অথচ বিগত ৫৩ বছর যাবৎ ধর্ষণ বন্ধে বিভিন্ন আইন করা হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণেই তা বন্ধে হচ্ছে না।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করবে।
ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদের আমলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রেপের সেঞ্চুরি উদযাপন দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। খাদিজা, মিতু আর তনুরা, মাদ্রাসা ছাত্রী ইয়াসমিনরা ন্যায়বিচার পায়নি। পতিত সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করলেও কোনো বিচারই আলোর মুখ দেখেনি। ২৪ অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশবাসী আর দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা বন্ধে ইসলামি অনুশাসনের বিকল্প নেই। তিনি আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের জয়ী করে সংসদে কোরআনি আইন চালুর মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সংগঠনের উপজেলা সভাপতি এম এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ নেন সংগঠনের কুমিল্লা উত্তর জেলা সেক্রেটারি মুফতি রাশেদুল ইসলাম, যুব আন্দোলন সভাপতি আ.ম.ম উবায়দুল হক, বিএনপি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল ভূইয়া, জামায়াত আমীর মাওলানা আ ন ম ইলইয়াস, ইসলামী আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলা সহ-সভাপতি হাজি আবদুল করিম, যুবনেতা মাওলানা মোহাম্মদ মাহদী হাসান, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর হাফেজ আমিনুল ইসলাম, মুরাদনগর মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা তাজুল ইসলাম, শায়খুল হাদীস আল্লামা সোলাইমান, মাওলানা নোমান আহমদ, বামুক উপজেলা সদর হাফেক বেলাল হুসাইন পাহাড়পুরি, সাধারণ সম্পাদক মো: কামাল মিয়া, মুফতি মানসুরুল হক, শেখ সাইফুল ইসলাম, যুবনেতা এম.এম শুআ'ইব হুসাইন, হাফেজ এমদাদুল হক, ডা.সাইফুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম মারজান, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মুসা হায়দার।
ডিআর/বিএইচ