চাঁদাবাজিকে তারা অধিকার মনে করে : মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৩

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির মতো ঘটনাগুলো চলছে। যা আমাদেরকে দারুণভাবে পীড়া দেয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শত-সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে জনগণ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু আগের মতো এখনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির ঘটনাগুলো চলমান রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত মিডিয়াতে আসছে।
তিনি বলেন, বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা চাঁদাবাজির সুযোগ না পেলে কর্মী পাবে না। আর টাকা পাঁচার করার সুযোগ না পেলে নেতা পাওয়া যাবে না। তারা মনে করে চাঁদাবাজি তাদের অধিকার। তারা মনে করে অতীতে এভাবে চলে আসছে, এখন কেন চলবে না?
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা উত্তরের মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে শনিবার বিকেলে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, যুবনেতা মাওলানা শোয়াইব আহমদ। দারোরা ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ শরিফুল ইসলাম সাদ্দামের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রনেতা আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যুবনেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মূসা হায়দারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যেই জুলাই বিপ্লব হয়েছে। কেবলমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য হাজার হাজার মানুষ রক্ত দেয়নি, পঙ্গুত্ববরণ করেনি। কাজেই সংষ্কার করেই কেবল নির্বাচন, এর আগে নয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদেরা যে জন্য রক্ত দিয়েছে, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারকে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। পূর্ববর্তী সময়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসসহ যে বিষয়গুলো সমাজকে ধ্বংস করেছে, তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে। এগুলোকো শক্ত হাতে দমন করা হবে। অন্যথায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্ত দেয়ার কোন মূল্য থাকবে না।
ডিআর/বিএইচ