টেকসই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে পৃথক দুটি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি না হলে  নির্বাচন দিয়ে কোনো লাভ হবে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে টেকসই সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, তাতে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে না। মানুষ সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না।’ 

পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতির) নির্বাচন হলে তাতে পেশিশক্তির ব্যবহার হবে না। কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে না, বরং জাতীয় এক সরকার হবে, যে সরকার ফ্যাসিস্ট হবে না।’

মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘যারা সমাজকে সংশোধন করতে চাই, তারা নিজেরাই সংশোধন হইনি। যারা সমাজকে সাজাতে চাই তারা নিজেরা নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে অফিস-আদালতে এখনো বৈষম্য দূর হয়নি। ৫ আগস্টের পরে বৈষম্য দূর হয়নি বরং ফ্যাসিস্টের পরিবর্তে নতুন আরেক দলের অবৈধ ক্ষমতার দাম্ভিকতায় বৈষম্য চলছে। অন্যের জমির ধান কেটে নিয়ে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় তারা পার পেয়ে যেতে চায়।’

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, দখলদারিত্ব,‌ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা, বিচারবিহীন হত্যা ও মা-বোনেরা ধর্ষিত হচ্ছে। থানায় থানায় মিথ্যা মামলার পাহাড়। হাইকোর্টের বিচারপতি এজলাসে থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। দেশ কোথায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে ধ্বংস করার জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত। এ আগুন যেনতেন নয়। বিগত সময়ের সমস্ত অপকর্মের রেকর্ড জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে অপকর্মের কোনো রেকর্ড না থাকে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান খারাপের দিকে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ চোর-ডাকাত ও দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা যায় না। সন্ত্রাসীর মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় না।’

ডিআর/এমজে